অরিজিৎ সাহা: দেশে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে লাফিয়ে। পাল্লা দিয়ে দেশের হাসপাতালগুলিতে বাড়ছে মাস্ক, গ্লাভস, পিপিটি জ্যাকেটের চাহিদা। এই সব চাহিদা মেটাতেই মহেশতলার একটি কারখানায় উদয়াস্ত পরিশ্রম করে চলেছেন বেশকিছু শ্রমিক। সরকারই উদ্যোগে কলকাতা-সহ বিভিন্ন হাসপাতালে এখান থেটকেই সাপ্লাই দেওয়া হয় চিকিৎসকদের প্রযোজনীয় দ্রব্য।
করোনা সংক্রমণ থেকে বাঁচতে সবচেয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ হল সতর্কতা। আর যারা এই মারণ ভাইরাসের সঙ্গে দিনরাত লড়াই চালাতে রাস্তায় নামছেন, হাসপাতালগুলিতে কাজ করে চলেছেন, রোগীদের সেবা করছেন তাদের সকলকেই তো আরও সচেতন হতে হবে। তাই রাজ্য সরকারের উদ্যোগে তাদের সুরক্ষিত রাখতে মাস্ক, গ্লাভস, রোগীদের পরিষেবা দেওয়ার সময় ব্যবহৃত জ্যাকেটের চাহিদা বৃদ্ধি পাচ্ছে দিনে দিনে। চলতি বাজারে সেই চাহিদা অনুযায়ী জোগান কমে গেলে রাজ্য সরকার উদ্যোগ নেয়।
রাজ্য সরকারের সরকারি দপ্তরের সহায়তায় মহেশতলায় ৪৮ জন শ্রমিককে নিয়ে একটি কারখানায় চলছে চিকিৎসক ও হাসপাতালে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য নির্মাণ। শিফটিং ডিউটির মাধ্যমে শ্রমিকরা এই নির্মাণ কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। এই কারখানা থেকেই পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসার প্রয়োজনীয় সামগ্রী সরবরাহ করা হয়। হাজি আসরফ আলি মোল্লার তত্ত্বাবধানে এই কারখানায় কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন শ্রমিকরা। মাস্ক, গ্লাভস নির্মাণ করতে যে খরচ পড়ছে তা রাজ্য সরকারই জোগান দিচ্ছে কারখানার শ্রমিকদের। দেশজুড়ে লকডাউনের সময় চিকিৎসকদের প্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি নির্মাণের সময় যথেষ্ট সতর্কতা অবলম্বন করছেন এই কারাখানার শ্রমিকরাও। কর্মরত শ্রমিকরাও মাস্ক, গ্লাভস পড়ে নিজেদের সুরক্ষিত রাখছেন এই সময়।
দেশে যখন গণপরিবহন ব্যাহত, কেবলমাত্র জরুরি পরিষেবা জারি রাখা হয়েছে। সেই সময় রাজ্য সরকারের এই উদ্যোগে স্বস্তি পেয়েছে রাজ্যের হাসপাতালগুলি। চিন-সহ অন্যান্য দেশ থেকে আমদানি ও রপ্তানি বন্ধ থাকায় চিকিৎসা ক্ষেত্রে ব্যবহৃত প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম তাই রাজ্যেই তৈরি হওয়ায় করোনা মোকাবিলায় নয়া উদ্যম খুঁজে পেয়েছে হাসপাতালগুলি।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.