Advertisement
Advertisement

টানা বৃষ্টি নেই, এটাই আশা দুর্গতদের

পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে তৈরি রাজ্য সরকার৷

In eastern state of West Bengal, flood situation remained grim in parts of Malda district where a child was swept away.
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:August 26, 2016 11:17 am
  • Updated:August 26, 2016 11:17 am  

স্টাফ রিপোর্টার: ভাসছে দক্ষিণবঙ্গের বিস্তীর্ণ এলাকা৷ তবে স্বস্তির কথা একটাই যে, বর্ষণে ছেদ পড়েছে৷ অন্তত অবিরাম বৃষ্টি হচ্ছে না৷ যদিও জেলার মানুষের দুর্গতি এতে কমেনি৷ বরং বিভিন্ন ব্যারেজের ছাড়া জলে বৃহস্পতিবারও বেশ কিছু এলাকা নতুন করে জলমগ্ন হয়েছে৷ দুর্যোগে মৃত্যু বেড়েছে৷ আশঙ্কা, জল নামতে থাকলে বাড়বে নদী বাঁধের ভাঙন এবং ভিত আলগা হয়ে গ্রামে মাটির বাড়ি হুড়মুড়িয়ে পড়বে৷ ফলে দুর্গতের সংখ্যা বাড়বে৷

তবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে তৈরি রাজ্য সরকার৷ ইতিমধ্যে বেশ কিছু মানুষকে নদী বাঁধ লাগোয়া এলাকা থেকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে৷ স্কুল ও সরকারি ভবনে খোলা হয়েছে ত্রাণ শিবির৷ বৃহস্পতিবারও বিভিন্ন ব্যারেজ থেকে জল ছাড়া হয়েছে৷ তিস্তা ব্যারেজ ১৯০৪৭, দুর্গাপুর ৫৬৪০২, পাঞ্চেত ৩৯৯৬০, গালুডি ৪২০৯৬ কিউসেক জল ছেড়েছে৷ আগের চেয়ে জল ছাড়ার পরিমাণ কম হলেও রাজ্যের নিচু এলাকা কিন্তু ক্রমশ ডুবছে৷ বিশেষ করে বর্ধমান, বাঁকুড়া, পশ্চিম মেদিনীপুর ও হাওড়া-হুগলির বেশ কিছু এলাকার সংকট বাড়িয়ে দিয়েছে এদিনের জলস্রোত৷ নিম্ন দামোদরের বিভিন্ন নদী ও শাখা নদীতে এমনিতে জল ধারণ ক্ষমতা কম৷ তার উপর ব্যারেজের জল বাড়িয়ে তুলেছে বিপদ৷ নবান্ন সূত্রে খবর, বুধবার পর্যন্ত বন্যা ও আনুষঙ্গিক প্রাকৃতিক দুর্যোগে মৃত্যু হয়েছিল ৬ জনের৷ বৃহস্পতিবার বাঁকুড়া, পশ্চিম মেদিনীপুর, মালদহে মারা গিয়েছেন আরও তিনজন৷ তবে বেসরকারি সূত্রে মৃত্যুর সংখ্যা বেশি বলেই খবর৷ হাওড়ার উদয়নারায়নপুরে খিলা গ্রামে মৃত্যু হয়েছে এক শিশুর৷

Advertisement

রাজ্য সরকার ফের ব্যারেজ কর্তৃপক্ষকে দায়ী করে বলেছে, কিছু না জানিয়ে হঠাত্‍ করে জল ছাড়ায় বিপদ বাড়ছে৷ এই অভিযোগ উড়িয়ে ডিভিসি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, জলাধার থেকে ইচ্ছা হলেই জল ছাড়া যায় না৷ সিদ্ধান্ত নেয় একটি কমিটি (ডিভিআরআরসি), যার মধ্যে রাজ্যের প্রতিনিধিও রয়েছেন৷ ফলে এতে একতরফা ডিভিসির কোনও হাত নেই৷ তা ছাড়া সম্প্রতি কর্তৃপক্ষ জলাধারের উন্নয়নে এবং জল ছাড়ার বিষয়ে মানুষকে আগাম জানাতে কিছু ব্যবস্থা নিয়েছে৷ ওয়েবসাইট ও হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে বিষয়টি মানুষকে জানানো হচ্ছে৷ নতুন প্রযুক্তির সাহায্যও নেওয়া হয়েছে৷ শুধু তাই নয়, বন্যা নিয়ন্ত্রণে মাইথনে ৪৯৫ থেকে ৫০০ ফিট, পাঞ্চেতে ৪২৫ থেকে ৪৩৫ ফিট জলধারণ ক্ষমতা বৃদ্ধি করা হচ্ছে৷ বিশ্বব্যাঙ্কের টাকায় কোনার, মাইথন ও পাঞ্চেতের পরিকাঠামোর উন্নয়্য়্ন করা হচ্ছে৷ যার ফলে আগামিদিনে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ আরও সহজ হবে৷

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement