ভাস্কর মুখোপাধ্যায়, বোলপুর: বোলপুরে গিয়ে বিক্ষোভের মুখে বিকাশ ভট্টাচার্য ও আবদুল মান্নান। শান্তিনিকেতন লাগোয়া শিবপুর মৌজায় অনিচ্ছুক চাষিদের সভায় গিয়েছিলেন দুই নেতা। ফেরার সময় বিকাশবাবুর গাড়ি আটকানো হয়। অভিযোগ স্থানীয় তৃণমূল কর্মীরা সিপিএম নেতার গাড়ি ঘেরাও করেন। পরে পুলিশের হস্তক্ষেপে তাঁরা মুক্ত হন।
[রোগীমৃত্যু ঘিরে বিক্ষোভ, ভাঙচুর বাঙুর হাসপাতালে]
শিবপুর মৌজার জমি নিয়ে টানাপোড়েন দীর্ঘদিনের। ওই এলাকায় শিল্পতালুকের জন্য ২০০১ সালে প্রায় ৩০০ একর জমি অধিগ্রহণ করেছিল তৎকালীন বাম সরকার। তবে ওই জমিতে কেউ শিল্প গড়তে আসেনি। জমি ফেরতের দাবিতে বাম আমলে শুরু হয় আন্দোলন। নেতৃত্বে ছিল তৃণমূল। রাজ্যে পালাবদলের পর ২০১২ সালের জুলাইয়ে বীরভূমে গিয়ে ওই প্রকল্প নিয়ে মুখ খুলেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অধিগৃহীত জমিতে আইটি হাবের শিলান্যাস করে ‘শিল্পনিকেতন’ গড়ার ডাক দিয়েছিলেন তিনি। এরপর ওই প্রকল্পে শিল্প না হওয়ায় ১৩১ একর জমিতে স্মার্টসিটি তৈরির উদ্যোগ নেয় রাজ্য সরকার। বর্তমানে ওই জমির একাংশে আইটি হাবের ভবন গড়ে উঠছে। জমি ফেরতের দাবিতে আন্দোলনকারীদের পাশে থাকতে বিরোধী দলনেতা আবদুল মান্নান ও সিপিএম নেতা বিকাশ ভট্টাচার্য এদিন শিবপুরে গিয়েছিলেন। এই নিয়ে আদালতে জনস্বার্থ মামলায় আইনজীবী হিসাবে দাঁড়িয়েছেন বিকাশ ভট্টাচার্য। এদিন আন্দোলনকারীদের পাশে থাকার বার্তা দেন দুই নেতা। এরপর তাঁরা যখন ফিরছিলেন তখনই বিপত্তি ঘটে। আবদুল মান্নানের গাড়ি এগিয়ে গেলেও বিকাশ ভট্টাচার্যের গাড়ি আটকে পড়ে। অভিযোগ তাঁর গাড়ি ঘিরে ধরে গালিগালাজ করা হয়। ধাক্কা মারা হয় গাড়িতে। স্থানীয় তৃণমূল কর্মীদের একাংশ এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত বলে অভিযোগ উঠেছে। তবে শাসকদল অবশ্য এই ঘটনায় নিজেদের যোগ অস্বীকার করেছে।
[কলকাতা বিমানবন্দরে অল্পের জন্য রক্ষা ব্যাঙ্ককগামী বিমানের]
রাজ্যে পালাবদলের পর অনিচ্ছুকদের পাশে দাঁড়িয়েছে কংগ্রেস এবং বিজেপি। শিবপুর মৌজায় শিল্প, কর্মসংস্থান এবং ন্যায্য ক্ষতিপূরণের দাবিতে এই দুই দল বেশ কিছু কর্মসূচি নিয়েছে। অশোক ভট্টাচার্য এদিন অবশ্য হুঁশিয়ারি দেন জমি নিয়ে মামলার জন্য তৃণমূল নেতাদের জেলে যেতে হবে। তবে শাসকদলও সহজে জমি ছাড়তে নারাজ।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.