সুব্রত বিশ্বাস: রেল পরিবহণে প্রথম রাজ্যের চাল যাচ্ছে ত্রিপুরাতে। শুক্রবার বর্ধমান থেকে প্রথম ৫১২ টন চাল লোডিং হল মালগাড়িতে। এদিন মালগাড়িটি আগরতলার উদ্দেশ্যে রওনা হয়। আগরতলা স্টেশনে কোনও সাইডিং না থাকায় চাল আনলোড হবে জিরানিয়াতে। রেলের উদ্যোগে খুশি বর্ধমানের রাইস মিলের মালিকরা। তাঁদের কথায়, সড়কপথের তুলনায় এক তৃতীয়াংশ সময়ে চাল পৌঁছে যাবে পশ্চিমবঙ্গ থেকে ত্রিপুরায়।
রাজ্যের চালভিন রাজ্যে মূলত যোগান যায় সড়ক পথে। রেল রাইস মিলগুলিকে নিজেদের পরিবহণে টানতে লকডাউন থেকে চেষ্টা চালানো শুরু করে। টিকিট পরীক্ষক থেকে কমার্শিয়াল সুপারভাইজারদের বর্ধমানের রাইস মিল গুলিতে পাঠিয়ে বোঝানোর চেষ্টা করে। সময় বাঁচলেও অর্থের দিক দিয়ে বিশেষ সাশ্রয় না দেখে ব্যবসায়ীরা প্রথমে আগ্রহ প্রকাশ করেনি। পরে ধাপে ধাপে আলোচনার মাধ্যমে একাধিক চার দেওয়ায় ভাড়া সড়কপথের চেয়ে কমে আসে। হাওড়ার সিনিয়র ডিসিএম রাজীব রঞ্জন বলেন, এখন টন প্রতি ভাড়া দু’হাজার চারশো টাকা। সেখানে ট্রাকে পড়ে প্রায় সাড়ে চার হাজার টাকা।
পূর্ব রেলের হাওড়া ডিভিশন রাজ্যের চাল ও আলু ভিন রাজ্যে পাঠানোর জন্য ব্যবসায়ীদের রেলে টানার পরিকল্পনা নেয় করোনা পরিস্থিতিতে। নানা ধরনের ছাড় ও কম সময়ে পণ্য পৌঁছে যাওয়ায় সড়কপথ ছেড়ে রেলে আসে রাইসমিল মালিকরা। ফলে শুক্রবার বর্ধমান থেকে মালগাড়িতে ৫১২ টন চাল গেল ত্রিপুরাতে। এক্ষেত্রে রেলের আয় হয়েছে ১০ লক্ষ ৬৪ হাজার টাকা। রাজীব রঞ্জন বলেন, চাল সহ অত্যবসকীয় পণ্য রাজ্য থেকে ভিন রাজ্যে যোগান দিতে রেল সব রকম প্রচেষ্টা চালাবে। আর্থিক সুবিধা ও সময় কম লাগলে ব্যবসায়ীরা রেলের প্রতি আগ্রহ প্রকাশ করবে। রেল ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের জন্য বিশেষ সুবিধা দেওয়া শুরু করেছে বলে জানা গিয়েছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.