ছবি: জয়ন্ত দাস।
ধীমান রায়, কাটোয়া: বিশ্বকর্মা পুজো মিটতেই শুরু দুর্গাপুজোর বাজার। বাড়বে বিক্রি বাট্টা। কিন্তু চাহিদা অনুযায়ী দ্রব্যসামগ্রীর যোগান কোথা থেকে আসবে জানেন না বর্ধমানের কাটোয়া ভাতার এলাকার ব্যবসায়ীরা। বড়বাজারের বাগরি মার্কেট পুড়তেই মণিহারি ব্যবসায়ীরা সিঁদুরে মেঘ দেখছেন। শারদোৎসবের আগেভাগে মফস্বলে মহিলা ক্রেতাদের সাজগোজের পৃথক বাজার হয়। বাগরির আগুনে সেই বাজারের অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে। জেলার ব্যবসায়ীরা কোথা থেকে মহিলাদের বিকিকিনির সামগ্রী কিনবেন বুঝে উঠতে পারছেন না। ব্যবসা যে এবার মার খেতে চলেছে, পুজোর ২৮ দিন আগেই তা বুঝতে পেরে মুষড়ে পড়েছেন ব্যবসায়ীরা।
দুর্গাপুজোয় নতুন জামাকাপড়ের সঙ্গে প্রসাধনী সামগ্রী, ইমিটেশনের গয়না-সহ মহিলাদের টুকিটাকি সাজের জিনিসের বিরাট চাহিদা থাকে। কলকাতায় বাগরি মার্কেট আগুনে ভস্মীভূত হওয়ায় তার আঁচ এসে পড়েছে কাটোয়া, গুসকরা, ভাতার, বলগোনার মতো মফস্বল এলাকাতেও। ভাতার বাজারের প্রসাধনী বিক্রেতা গোপাল দত্ত বলেন, ‘সারা বছর কলকাতার অন্যান্য কয়েকটি বাজার থেকে দোকানের মালপত্র কিনি। শুধু দুর্গাপুজোর মরশুমে যাবতীয় মালপত্র বাগরি মার্কেটের পাইকারি বাজার থেকে কিনে আনতাম। কারণ বাগরি মার্কেটেই দামি জিনিসগুলি পাওয়া যেত। বিশ্বকর্মা পুজোর পরেই দ্রব্যসামগ্রী তোলার কথা ছিল। বাগরি মার্কেটে আগুনের পর এবার কোথা থেকে ওই ধরনের জিনিসপত্র পাব তা নিয়ে চিন্তায় রয়েছি।’
জানা গিয়েছে, কাটোয়ার ব্যবসায়ীরা, সবসময় বাগরিতে গিয়ে ব্যবসার দ্রব্যাদি কিনতে পারতেন না। পুজোর আগে কলকাতায় আসা নিত্যযাত্রীদের হাত দিয়েই বাগরি থেকে মালপত্র আনানো হত। কাটোয়া শহরের বাসিন্দা উত্তম দাস, তিমির প্রামাণিকরা কমিশনের ভিত্তিতে ব্যবসায়ীদের মালপত্র এনে দেন। তাঁরা জানিয়েছেন, বাগরি মার্কেট পুড়ে যাওয়াতে ব্যবসার প্রচুর ক্ষতি হল। বিশেষ করে দুর্গাপুজোর বাজার কার্যত মাটি হয়ে গেল। কাটোয়ার নিচুবাজারের ব্যাবসায়ী গৌড় দত্ত, চশমার দোকানদার নিহার সোমরা জানান, পুজোর সময় শৌখিন সামগ্রীর চাহিদা বেশি থাকে। কলকাতায় বাগরি মার্কেটেই ছিল শৌখিন জিনিসপত্রের সুবিধাজনক পাইকারি বাজার। পুজোর মুখে এই বিপর্যয়ের ঘটনায় বিপদে পড়েছেন তাঁরা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.