ছবি: প্রতীকী
নব্যেন্দু হাজরা: ঘূর্ণিঝড়ের তাণ্ডবে কি দীপাবলির আনন্দ মাটি হবে? না কি দুর্গাপুজোর মতোই নিম্নচাপের হালকা বৃষ্টিতে ভিজবে বাংলা! এখন সেই প্রশ্নই ঘুরপাক খাচ্ছে বঙ্গবাসীর মাথায়। তবে আজ, বৃহস্পতিবার সে বিষয়ে একটু আন্দাজ পাওয়া যাবে। হাওয়া অফিস জানাতে পারবে ঘূর্ণিঝড়ের অভিমুখ বা নিশানা কোনদিকে হতে পারে।
আলিপুর আবহাওয়া দপ্তরের তরফে জানানো হয়েছে, উত্তর আন্দামান সাগরে ঘূর্ণাবর্ত তৈরি হয়ে গিয়েছে। আর বৃহস্পতিবার তা নিম্নচাপে পরিণত হবে। শুক্রবার থেকে সাগরে ক্রমশই শক্তি বাড়াবে নিম্নচাপটি। পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগরে পৌঁছনোর পর, সেটি ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে। এরপর তার অভিমুখের উপরই নির্ভর করবে, বাংলায় তার প্রভাব কতখানি হবে। যদিও আগে থাকতেই প্রশাসনের তরফে সমস্তরকমের সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিয়ে নেওয়া হয়েছে। বুধবার এবিষয়ে নবান্নে একটি উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক হয়। সেখানে বিপর্যয় মোকাবিলা দপ্তরের তরফে দক্ষিণবঙ্গের সমস্ত জেলাশাসককে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। বিশেষত উপকূলীয় জেলার জেলাশাসকদের।
সিত্রাংয়ের (Cyclone Sitrang) প্রত্যক্ষ প্রভাব যদি বঙ্গে পড়ে, সেক্ষেত্রে মানুষকে কোথায় সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হবে তাও ঠিক রাখতে বলা হয়েছে। রবিবার থেকে মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যেতে বারণ করা হয়েছে প্রশাসনের তরফে। যাঁরা গিয়েছেন, তাঁদেরও ফিরে আসতে বলা হয়েছে। আলিপুর আবহাওয়া দপ্তরের অধিকর্তা গণেশকুমার দাস জানিয়েছেন, উত্তর আন্দামান সাগরে তৈরি হয়েছে ঘূর্ণাবর্ত। বৃহস্পতিবার যার নিম্নচাপে রূপ নেওয়ার কথা। তখন কিছুটা হলেও আন্দাজ করা যেতে পারে, ঘূর্ণিঝড় হলে তার অভিমুখ কোনদিকে হবে। তবে ২২ তারিখ পর্যন্ত দুর্যোগের সম্ভাবনা নেই।
এদিকে, ভোরের দিকে হালকা উত্তুরে হাওয়া বইতে শুরু করেছে বুধবার থেকে। ফলে শীতের আমেজ পাচ্ছেন বঙ্গবাসী। যদিও এখনই শীতের কোনও সম্ভাবনার কথা হাওয়া অফিস জানায়নি। হাওয়া অফিস জানাচ্ছে, সমুদ্রস্তরে তাপমাত্রা বৃদ্ধির জন্য ঘূর্ণিঝড় তৈরি হয়। কালীপুজোর সময়ে যে ঘূর্ণিঝড়টি উপকূলে আছড়ে পড়তে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে, সেই ঘূর্ণিঝড়ের নাম ‘সিত্রাং’। তাইল্যান্ডের দেওয়া এই নামের অর্থ, ‘পাতা’। তার নিশানা এবার কোনদিকে থাকে এবার সেটাই দেখার। এদিকে এর পাশাপাশি আরও একটি ঘূর্ণাবর্ত ঘনিয়েছে মহারাষ্ট্র উপকূলে। আরব সাগরের এই ঘূর্ণাবর্তের দু’টি অক্ষরেখা। একটি রয়েছে উত্তর আন্দামান সাগর থেকে তামিলনাড়ু উপকূল পর্যন্ত। অন্যটি আরব সাগর উপকূল বরাবর কেরল থেকে মহারাষ্ট্র উপকূলে বিস্তৃত।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.