সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: যতদিন যাচ্ছে, দাপট বাড়াচ্ছে মারণ ভাইরাস। তাই করোনা মোকাবিলায় দেশজুড়ে দ্বিতীয়বার লকডাউনের সময়সীমা বাড়িয়েছে কেন্দ্র। তৃতীয় দফা লকডাউন ঘোষণার আগেই অবশ্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়ে দিয়েছিলেন, এ রাজ্যে ২১ মে পর্যন্ত লকডাউনের পরিস্থিতিই বজায় থাকবে। একাধিক ক্ষেত্রে ছাড় দেওয়া হলেও সবকিছু এখনই স্বাভাবিক ছন্দে ফিরবে না। এবার রাজ্যের বিভিন্ন মসজিদের ইমামরা মুখ্যমন্ত্রীকে লকডাউনের মেয়াদ দীর্ঘায়িত করার আরজি জানালেন।
দেশজুড়ে ১৭ মে পর্যন্ত লকডাউন। তবে বাংলায় ২১ মে পর্যন্ত ববাল থাকবে লকডাউনের পরিস্থিতিই। আর এ বছর ২৫ মে পড়েছে ইদ উৎসব। কিন্তু ইমামরা চাইছেন, উৎসবের কথা ভেবে যেন লকডাউন শিথিলের সিদ্ধান্ত না নেওয়া হয়। বরং করোনাকে রুখতে ৩০ মে পর্যন্ত রাজ্যে চলুক লকডাউন। রাজ্যের ইমামদের সংস্থার তরফে ইতিমধ্যেই এই আরজি জানিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে একটি চিঠিও দেওয়া হয়েছে। বলা হয়েছে, কেন্দ্র ১৭ মে’র পর লকডাউন প্রত্যাহার করে নিলেও যেন বাংলায় লকডাউন চলতে থাকে।
ইমামদের সংস্থার প্রধান মহম্মদ লাহাইয়া বলেন, “২৫ মে আমরা উৎসব (ইদ) পালন করব। আমরা যাতে সুষ্ঠুভাবে উৎসবে মেতে উঠতে পারি, তার জন্য আপনি হয়তো লকডাউন তুলে নেওয়ার কথা ভাবছেন। কিন্তু আপনার কাছে অনুরোধ, আমাদের উৎসবের চিন্তা করবেন না। উৎসবের দরকার নেই। আমরা কেউ আপনাকে দোষারোপ করব না। আপনি আগেই জানিয়েছিলেন ২১ মে পর্যন্ত লকডাউন চলবে। সেখানে কেন্দ্র ১৭ মে অবধি লকডাউন ঘোষণা করেছে। তাই আমাদের অনুরোধ আপনি লকডাউনের মেয়াদ আরও বাড়ান।”
লকডাউনের মধ্যেও রাস্তায় ভিড় জমাচ্ছেন অনেকে। বেশ কিছু গোষ্ঠীই কেন্দ্রের নির্দেশিকা অমান্য করে লকডাউনে রাস্তায় বেরোচ্ছে। বাংলার বিরুদ্ধে একাধিকবার এমন অভিযোগ তুলেছে কেন্দ্র। এমনকী এও বলা হয়েছে যে গোটা দেশের মধ্যে এ রাজ্যেই মৃত্যুর হার সর্বাধিক। শনিবার পর্যন্ত বাংলায় আক্রান্তের সংখ্যা ১৮০০ ছুঁইছুঁই। মৃত ৯৯জন। এই পরিস্থিতিতে মুখ্যমন্ত্রী ইমামদের আরজিতে সাড়া দেন কি না, সেটাই এখন বড় প্রশ্ন।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.