সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, দুর্গাপুর: একশো দিনের সরকারি প্রকল্পের আওতায় নির্মিত হয়েছিল জেলার প্রথম উড়ো ছাইয়ের ইট তৈরির কারখানা। কিন্তু বছর দুই ঘুরতেই পালটে যায় চিত্রটি৷ প্রথমে বন্ধ হয়ে যায় ওই কারখানা৷ তারপর সেটাই পরিণত হয় দুষ্কৃতীদের ডেরায়। সূত্রের খবর, পঞ্চায়েতের দায়িত্বজ্ঞানহীনতায় এবার সেই সরকারি ইট তৈরির কারখানার ‘দখল’ নিতে চলেছে ব্লক প্রশাসন।
[ আরও পড়ুন: ‘মঙ্গলগ্রহ থেকে এলেও হিন্দুরা থাকবেন’, NRC প্রসঙ্গে মন্তব্য সায়ন্তনের ]
জানা গিয়েছে, অন্ডালের শ্রীরামপুরের কুটিরডাঙ্গায় ২০১৬-তে ৩০ লক্ষ টাকা ব্যয়ে গড়ে উঠেছিল জেলার প্রথম উড়ো ছাইয়ে ইট তৈরির কারখানা। তবে বেশিদিন স্থায়ী হয়নি সেটি। সরকারি স্তরে ফ্লাই অ্যাশে তৈরি ইটকে প্রাধান্য দেওয়া হলেও, যথাযথ বাজারের অভাবেই বন্ধ হয় কারখানা। শ্রীরামপুর পঞ্চায়েত দায়িত্ব নিলেও, কারখানাটিকে বাঁচানো সম্ভবপর হয়নি৷ দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ থাকার কারণে গুজরাত থেকে আনা যন্ত্রও বিকল হওয়ার পথে। অভিযোগ, এই সুযোগেই বন্ধ ইট কারখানাকে নিজেদের চারণভূমিতে পরিণত করেছে দুষ্কৃতিরা। অসাধু কাজকর্ম থেকে শুরু করে মাদকের নেশার বহর বাড়ছে এলাকায়৷ এই প্রসঙ্গে মুখ খুলেছেন শ্রীরামপুর পঞ্চায়েতের প্রধান শিপ্রা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ তিনি জানান, ইট তৈরি হলেও তা বিক্রি করা যাচ্ছিল না৷ তাই বন্ধ হয়ে যায় কারখানাটি।
[ আরও পড়ুন: খাদ্যতালিকা মেনে মিড-ডে মিলে মাংস-ডিম, নজির বর্ধমানের স্কুলের ]
যদিও ব্লক প্রশাসনের দাবি, পঞ্চায়েতের ব্যর্থতা ও সমন্বয়ের অভাবেই এই কারখানা বন্ধ হয়েছে। এই কারখানা ফের চালু করার বিষয়ে অন্ডালের ব্লক প্রশাসন শ্রীরামপুর পঞ্চায়েতের সঙ্গে বৈঠকে বসলেও, সেই বৈঠকে স্রেফ পঞ্চায়েত প্রধান ছাড়া কেউ উপস্থিত ছিলেন না৷ কারখানার ভবিষ্যৎ সম্পর্কে অন্ডালের বিডিও ঋত্বিক হাজরা বলেন, “গ্রাম পঞ্চায়েতের সঙ্গে এই কারখানা চালানোর চুক্তি হয়েছিল ব্লক প্রশাসনের। সেই চুক্তি বাতিল করে পঞ্চায়েত সমিতি দায়িত্ব নেবে। তারপর তা লিজ ভিত্তিক, কোনও সংস্থা বা কোনও আগ্রহী গোষ্ঠীর হাতে তুলে দেওয়া যেতে পারে।”
ছবি: উদয়ন গুহরায়
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.