সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, দুর্গাপুর: মধুচক্রের আস্তানায় বাবার আনাগোনার কথা জানতে পেরে গিয়েছিলেন যুবক। তাই সন্দেহের বশেই মাকে সঙ্গে নিয়ে হানা দিয়েছিল সেই আবাসনে, যেখানে মধুচক্র চলে। যে আশঙ্কা নিয়ে যাওয়া, সেটাই সত্যি হল। ঘর থেকে অন্তরঙ্গ অবস্থায় উদ্ধার হয়েছে দু’জন। ইতিমধ্যেই আটক করা হয়েছে ওই মহিলাকে। তবে সুযোগ বুঝে চম্পট দিয়েছে অভিযুক্ত সুনীল মণ্ডল।
সুনীল মণ্ডল নামে ওই ব্যক্তির ছেলে জানান, দীর্ঘদিন ধরেই বাড়িতে টাকা পয়সা দিচ্ছিল না বাবা। এমনকী পরিবারের সকলের সঙ্গেই অস্বাভাবিক আচরণ করত। এতেই সন্দেহ দানা বাঁধে স্ত্রী ও পুত্রের মনে। এরপরই বাবার উপর নজর রাখতে শুরু করেন সুনীলের ছেলে। সেই সময়ই অভিযুক্ত মহিলার বাড়ি আনাগোনার তথ্য প্রকাশ্যে আসে। কিছুদিন আগে সুনীলের স্ত্রী-ছেলে ওই মহিলার বাড়ি গিয়ে তার কথা জিজ্ঞেস করলে চেনে না বলে দায় এড়ান মধুচক্রের ওই পাণ্ডা। কিন্তু শেষ রক্ষা হল না। মঙ্গলবার হাতেনাতে ধরা পড়ে গেল অভিযুক্ত মহিলা ও সুনীল। ঘরের ভিতর তারা রয়েছেন তা বুঝতে পেরে বাইরে থেকে ঘর বন্ধ করে দেন স্থানীয়রা। কিন্তু কোনওক্রমে ঘর থেকে পালিয়ে যায় সুনীল। তবে ঘরেই আটকে পড়েন অভিযুক্ত মহিলা।
এরপরই ওই মহিলাকে বেধড়ক মারধর করেন সুনীলের স্ত্রী। প্রতিবেশীরাও চড়াও হয় অভিযুক্ত মহিলার উপর। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে অভিযুক্ত মহিলাকে আটক করে। অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরেই এলাকায় মধুচক্র চালাচ্ছিল ওই মহিলা। কিন্তু তাদের হাতেনাতে ধরা যাচ্ছিল না। কিন্তু দুর্গাপুর ইস্পাত নগরীর আনন্দবিহারের মতো অভিজাত এলাকা, যেখানে ডিএসপি আধিকারিকদের বাস সেখানে সকলের চোখে ধুলো দিয়ে কীভাবে এতদিন ব্যবসা চালাল ওই মহিলা, তা নিয়েই উঠছে প্রশ্ন।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.