সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, দুর্গাপুর: শহরের রাস্তা থেকে বেআইনি হোর্ডিং সরিয়ে ফেলতে অভিযানে নেমেছে পুরনিগম। কিন্তু, তাতে কী! প্রচারের বিকল্প উপায় বের করে ফেলেছেন বিজ্ঞাপনদাতারা। শিল্পশহর দুর্গাপুরে রাস্তার ধারে গাছে বিজ্ঞাপন দেওয়ার হিড়িক পড়ে গিয়েছে। ক্ষুদ্ধ শহরবাসী। দুর্গাপুরের বিভাগীয় বনাধিকারিক মিলন মণ্ডলের সাফাই, ‘গাছে যাঁরা বিজ্ঞাপন দিচ্ছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে পুরনিগমকেই ব্যবস্থা নিতে হবে। এক্ষেত্রে বনবিভাগের কিছু করার এক্তিয়ার নেই।’ এদিকে আবার শহরের গাছ বাঁচানোর দায় নিতে নারাজ দুর্গাপুর পুরনিগমও।
[ ঝাড়গ্রামে জঙ্গলে আগুন, মহকুমা শাসকের কাছে ডেপুটেশন স্থানীয়দের]
বিজ্ঞাপনে মুখ ঢেকেছে শিল্পশহর দুর্গাপুর। শহরের প্রায় সর্বত্রই রাস্তার ধারে বিশাল বিশাল হোর্ডিং। দৃশ্যদূষণ তো হচ্ছেই, হোডিংয়ের কারণে রাস্তায় দৃশ্যমানতা বিপজ্জনকভাবে কমে গিয়েছে। ফলে বাড়ছে দুর্ঘটনা। দুর্গাপুর পুরনিগমের দাবি, বিনা অনুমতিতেই শহরের বিভিন্ন জায়গায় হোর্ডিং লাগিয়েছেন বিজ্ঞাপনদাতারা। রীতিমতো তালিকা তৈরি করে বেআইনি হোর্ডিং সরিয়ে দিচ্ছেন পুরনিগমের আধিকারিকরা। পুরনিগমের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করেছেন বিজ্ঞাপনদাতারা। শহরের বিজ্ঞাপনের বহর কিন্তু কমেনি। বরং বিপদ আরও বেড়েছে। দুর্গাপুরে এখন হোর্ডিং ছেড়ে রাস্তার ধারে গাছগুলিকে ব্যবহার করছেন বিজ্ঞাপনদাতারা। স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, সিটি সেন্টার, বিধাননগরের মতো শহরের অভিজাত এলাকায় বড় বড় গাছে ধাতব পদার্থ কিংবা পেরেক দিয়ে লাগানো হচ্ছে বিজ্ঞাপন। পরিবেশবিদদের আশঙ্কা, এভাবে যদি বিজ্ঞাপন লাগানো হয়, তাহলে গাছগুলি আর বাঁচবে না। সেক্ষেত্রে দুর্গাপুরে বায়ুদূষণ আরও বাড়বে। কিন্তু বনবিভাগ ও পুরনিগম কেউ কোনও ব্যবস্থা নিচ্ছে না বলে অভিযোগ।
শহরের গাছ বাঁচানোর ক্ষেত্রে নিজেদের অপারগতার কথা জানিয়েছেন দুর্গাপুরের বিভাগীয় বনাধিকারী মিলন মণ্ডল। তাঁর বক্তব্য, গাছে বিজ্ঞাপন রুখতে পুরনিগম যদি ব্যবস্থা নেয়, সেক্ষেত্রে বনবিভাগ সাহায্য করবে। আর দুর্গাপুর পুরনিগমের পালটা বক্তব্য, গাছ বাঁচানো বনবিভাগেরই দায়িত্ব। তবে কর ফাঁকি দেওয়ার জন্য যদি গাছে বিজ্ঞাপন দেওয়া হয়, তাহলে পুরনিগম ব্যবস্থা নেবে।
ছবি: উদয়ন গুহরায়
[ শিলাবৃষ্টির প্রকোপে আলু চাষে ব্যাপক ক্ষতি, মাথায় হাত কৃষকদের]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.