Advertisement
Advertisement

ইলেকট্রিক শক দিয়ে মাছ শিকার, ডুয়ার্সে বিপন্ন নদীর বাস্তুতন্ত্র

নড়েচড়ে বসেছে প্রশাসন ও বনদপ্তর।

Illegal fishing in Dooars river
Published by: Subhamay Mandal
  • Posted:November 22, 2018 4:11 pm
  • Updated:November 22, 2018 4:11 pm  

অরূপ বসাক, মালবাজার: শীত পড়তেই ডুয়ার্সের বিভিন্ন নদীতে ইনভার্টারের সাহায্যে ইলেকট্রিক শক দিয়ে মাছ ধরার প্রবণতা বেড়েই চলেছে। বৃহস্পতিবারও সেই ছবি দেখা গেল মালবাজার মহকুমার চেল নদীতে।

এই সময় নদীর জল কম থাকে। সেই কারণে কিছু মৎস্য শিকারি এই পদ্ধতিতে মাছ ধরছে। জানা গিয়েছে, সাইকেল অথবা পিঠে করে ব্যাটারি নিয়ে ইনভার্টার দিয়ে বিদ্যুৎ তৈরি করে জলে দিতেই মরে যাচ্ছে নদীর মুল্যবান নদীয়ালি মাছ। আর এতেই বিপন্ন হচ্ছে নদীর বোরলি, পুঁটি, খোকসা, ট্যাংরার মত সুস্বাদু মাছ। বৃহস্পতিবার খবর পাওয়া মাত্র ঘটনাস্থলে যান স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন হিমালয়ান ইকোলজি কনসার্ভেশন ফাউন্ডেশনের সদস্যরা। তাঁরাই ওই মৎস্যশিকারিদের তাড়িয়ে দেন। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে চেল নদীর বিভিন্ন জায়গায় এই পদ্ধতিতে মাছ ধরছিল কিছু মৎস্য শিকারি। জানা গিয়েছে প্রতিদিন ইলেকট্রিক শক দিয়ে নদীর ছোট ছোট মাছ ১৫-২০ কেজি করে ধরে এই মৎস্য শিকারিরা।

Advertisement

[বগি ফেলে আধ কিমি ছুটল বেঙ্গালুরু-তিনসুকিয়া এক্সপ্রেসের ইঞ্জিন!]

সংগঠনের সম্পাদক শেখর দে বলেন, মালবাজার মহকুমার চেল, ঘীস, লীস, মাল, জলঢাকা-সহ বিভিন্ন নদীতে এইভাবে মাছ ধরছে কিছু মৎস্য শিকারি। এব্যাপারে বনদপ্তর বা প্রশাসনকে এগিয়ে আসতে হবে। এই পদ্ধতিতে মাছ ধরলে ছোট মাছ যেমন মারা যাবে, পাশাপাশি মাছের প্রজনন ক্ষমতাও নষ্ট হবে। তাছাড়া মাছের সঙ্গে সঙ্গে জলজ প্রাণীরাও মারা যাচ্ছে। এ ব্যাপারে তারঘেরা রেঞ্জের রেঞ্জার দুলাল ঘোষ বলেন, ‘যখনই আমরা খবর পাই তখনই আমরা নদীতে গিয়ে ধরপাকড় করি। তবে এবছর শুনছি আবার এই পদ্ধতিতে মাছ ধরা হচ্ছে। এখন থেকে আমরা নদীগুলিতে টহল দেব।’

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement