Advertisement
Advertisement

সাগরে কপিল মুনির আশ্রম ভাঙার নির্দেশ দিল আদালত

ভাঙা হবে একাধিক হোটেল, লজও...

Illegal constructions at Sagar to be demolished
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:March 16, 2017 4:28 am
  • Updated:March 16, 2017 4:28 am

দেবব্রত মণ্ডল: উপকূলীয় পরিবেশ রক্ষার স্বার্থে ভাঙা হবে সাগরদ্বীপে কপিল মুনির আশ্রম। এমনটাই নির্দেশ দিল পরিবেশ আদালত (গ্রিন ট্রাইব্যুনাল)। ভাঙতে হবে সেখানকার ভারত সেবাশ্রম সংঘ ও রামকৃষ্ণ মিশনের আশ্রমবাড়িও৷ শুধু তাই নয়, একই নির্দেশ রয়েছে তটরেখার ১০০ মিটারের মধ্যে থাকা সমস্ত হোটেল ও লজ মালিকদের জন্যও। উপকূলীয় আইনের তোয়াক্কা না করেই এইসব নির্মাণ হয়েছে বলে অভিযোগ।

[মন্ত্রিসভায় রদবদল এপ্রিলে, মন্ত্রক হারাতে পারেন জেটলি-সুষমা]

Advertisement

বহুদিন ধরেই অভিযোগ উঠছে, সাগরে বিভিন্ন আশ্রম উপকূল পরিবেশ রক্ষার দায়িত্ব থেকে সরে এসেছে। প্রায় সমস্ত লজ ও হোটেলও ব্যবসার তাগিদে একই কাজ করছে। হোটেলে ব্যবহৃত বর্জ্য ফেলার ক্ষেত্রে পরিবেশ দূষণের দিকটি মাথাতেই রাখা হচ্ছে না। এমনকী, অধিকাংশ হোটেলের কোনও আইনি অনুমোদনও নেই। এসব অনিয়মের কারণেই ট্রাইব্যুনালের এই কঠোর অবস্থান। পাশাপাশি উপকূলের পরিবেশ পরিস্থিতি নিয়ে চলতি মাসের মধ্যেই জেলা প্রশাসনের কাছ থেকে রিপোর্ট তলব করেছে ট্রাইব্যুনাল। সাগরদ্বীপে কপিলমুনির প্রথম মন্দির তৈরি হয় ৪৩৭ খ্রিস্টাব্দে৷ পরে সেটি সমুদ্রে তলিয়ে যায়৷ তার পর আরও দু’বার মন্দির নির্মাণ করতে হয়েছে। শেষবার তৈরি হয় ১৯৭৩ সালে৷ কয়েকদিন বাদে লাগোয়া আশ্রমটি নির্মাণ করা হয়৷

এরপরই আস্তে আস্তে দক্ষিণ ২৪ পরগনার গোসাবা, বাসন্তী, ক্যানিং, নামখানা, সাগর, কাকদ্বীপ-সহ সুন্দরবনের বিশাল এলাকাজুড়ে ব্যাঙের ছাতার মতো হোটেল, লজ তৈরি হতে থাকে। পর্যটকরা যেহেতু তটের কাছে থাকতে চান, তাই পরিবেশকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে তটের উপরই গড়ে উঠতে শুরু করে একাধিক বাংলো, লজ, হোটেল। সুরাহা চেয়ে ২০১৪ সালে গ্রিন ট্রাইব্যুনালের পূর্বাঞ্চলীয় বেঞ্চে একটি মামলা হয়৷ তারই রায় দিতে গিয়ে পরিবেশ আদালত এই নির্দেশ দিয়েছে।

[রাতের খাবার খেয়ে এঁটো বাসন ফেলে রাখেন রাতভর? সর্বনাশ!]

২০২৪ এর পূজা সংক্রান্ত সমস্ত খবর জানতে চোখ রাখুন আমাদের দেবীপক্ষ -এর পাতায়।

চোখ রাখুন
Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement