Advertisement
Advertisement

Breaking News

জলপাইগুড়িতে রেলের পরিত্যক্ত ঘরে লাইসেন্সবিহীন হোমের হদিশ

রাতারাতি সরানো শিশুরা কোথায় গেল!

Illegal child care home raided in Jalpaiguri
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:March 9, 2017 7:08 am
  • Updated:March 9, 2017 7:09 am  

ব্রতীন দাস, শিলিগুড়ি: শিশু পাচার-কাণ্ডের মধ্যেই জলপাইগুড়িতে লাইসেন্সবিহীন হোমের হদিশ৷

ময়নাগুড়ির দোমোহনিতে রেলের পরিত্যক্ত স্টাফ কোয়ার্টারে বেআইনিভাবে চলছিল হোমটি৷ আলো-বাতাসবিহীন বসবাসের অযোগ্য ঘরে ঠাসাঠাসি করে উনত্রিশটি শিশুকে রাখা হত বলে অভিযোগ৷ খোঁজ পেতেই হোমটিতে হানা দেন শিশু পাচার নিয়ে তদন্তে আসা কেন্দ্রীয় দলের সদস্যরা৷ যদিও ওই হোমে গিয়ে কোনও শিশুর হদিশ মেলেনি৷ চন্দনার শিশু পাচারের কারবার সামনে আসতেই রাতারাতি ওই হোম থেকে শিশুদের সরিয়ে দেওয়া হয় বলে খবর৷ সেক্ষেত্রে কোথায় গেল শিশুরা? তা নিয়েই প্রশ্ন উঠেছে৷ সব শিশুকে পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে কি না তা ঘিরেও তৈরি হয়েছে ধোঁয়াশা৷

Advertisement

(চন্দনার হোমে শিশুদের কান্না থামাতে দেওয়া হত ঘুমের ওষুধ!)

হোমটি বন্ধে পদক্ষেপ করতে জেলা প্রশাসনকে নির্দেশ দিয়েছেন ন্যাশনাল কমিশন ফর প্রোটেকশন অফ চাইল্ড রাইটস-এর সদস্যরা৷ সেইসঙ্গে জেলা প্রশাসনের নজর এড়িয়ে বছরের পর বছর কীভাবে হোমটি চলছিল, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে৷ ‘সঙ্ঘমিত্রা ট্রাস্ট’ নামে হোমটি ময়নাগুড়ির এক লাইন হোটেলের মালিক রাজু সেন চালাতেন৷ ওই হোমের নামে অনুদান সংগ্রহ করা হত৷ মূলত চা বলয়ের গরিব পরিবারের শিশুদের খাওয়া-পড়ার টোপ দিয়ে ওই হোমে নিয়ে আসা হত৷ এখানেও শিশু পাচারের জাল ছড়িয়ে ছিল কি না তা নিয়ে তদন্তের দাবি উঠেছে৷

(এবার দোলে বাজার মাতাবে বেলপাতার আবির)

কয়েকদিন আগেই দার্জিলিংয়ের সুখিয়াপোখরিতে এধরনের একটি বেআইনি হোমের হদিশ মেলে৷ জেলা প্রশাসনের তরফে হোমটি সিল করে দেওয়া হয়েছে৷ যদিও হোমের কর্ত্রী এখনও বেপাত্তা৷ তিনি নেপালে গা ঢাকা দিয়েছেন বলে মনে করা হচ্ছে৷ সুখিয়াপোখরির হোমটি নিয়ে থানায় অভিযোগ দায়ের হয়েছে৷ প্রথমে ওই হোমের পনেরো শিশুর খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না৷ পরে দেখা যায়, বেআইনি কারবারের পর্দা ফাঁস হয়ে গিয়েছে টের পেয়ে রাতারাতি শিশুদের পরিবারের কাছে পৌঁছে দিয়ে গা ঢাকা দেন হোমের কর্ত্রী৷ উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন প্রান্তে লাইসেন্সবিহীন এরকম হোম আরও রয়েছে বলে অভিযোগ৷

প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ছাড়াই যে ময়নাগুড়ির দোমোহনিতে সঙ্ঘমিত্রা হোমটি চলছিল, তা স্বীকার করে নিয়েছেন মালিক রাজু সেন৷ তাঁর দাবি, অনুমতির জন্য আবেদন করেছিলেন৷ কিন্তু অনুমোদন মেলেনি৷ অথচ তার পরও কেন হোমটি চালাচ্ছিলেন তিনি–প্রশ্নের কোনও উত্তর দিতে পারেননি লাইন হোটেলের মালিক৷

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement