দেবব্রত মণ্ডল, বারুইপুর: ফের দক্ষিণ ২৪ পরগনায় হদিশ মিলল অস্ত্র কারখানার। ঘটনায় গ্রেপ্তার এক। ধৃতের নাম সিদ্দিক লস্কর ওরফে খোঁড়া সিদ্দিক। ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার বারুইপুর জেলা পুলিশের ক্যানিং থানার আমতলা গ্রামে। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে বারুইপুর জেলা পুলিশের স্পেশ্যাল অপারেশন গ্রুপের ওসি লক্ষ্মী বিশ্বাস ও ক্যানিং থানার আইসি সতীনাথ চট্টরাজের গোপন তল্লাশিতে উদ্ধার হয় এই বিরাট অস্ত্র কারখানা। এই ঘটনায় গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তির কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছে পাঁচটি একনলা বন্দুক, ১২ পিস ছোট একনলা বন্দুক, দুটি সিক্স চেম্বার পাইপ গান, কুড়িটি তাজা গুলি, চারটি বন্দুকের নল। এছাড়া অস্ত্র তৈরির প্রচুর যন্ত্রাংশ উদ্ধার করা হয়েছে এই কারখানা থেকে। যার মধ্যে আছে প্রচুর স্প্রিং লোহা কাটা মেশিন এবং লোহার রড।
ধৃতকে শুক্রবার বারুইপুর মহকুমা আদালতে তোলা হয়। আরও জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাকে দশ দিন পুলিশ হেফাজতে নেওয়ার আবেদন জানানো হয়েছে জেলা পুলিশের তরফ থেকে। এ বিষয়ে বারইপুর জেলার পুলিশ সুপার রশিদ মুনির খান বলেন, তিন বছর আগে সিদ্দিককে গ্রেপ্তার করেছিল পুলিশ। তারপর সে ছাড়াও পেয়ে যায়। বাড়ি ফিরে নতুন করে ঘরের মধ্যে আবার অস্ত্র কারখানা তৈরি করে। এই অস্ত্র কারখানা থেকেই জেলার বিভিন্ন এলাকাতে অস্ত্র সরবরাহ করত সে। মূলত তার অস্ত্র ক্যানিং, কুলতলী ও জয়নগর এলাকাতেই পৌঁছে যেত। এই অস্ত্র কারখানা পাশেই ছিল দুটি কাপড় সেলাইয়ের কারখানা। ফলে সেলাই মেশিনের আওয়াজে এই কারখানায় যন্ত্রাংশ তৈরির আওয়াজ বাইরে বের হত না। ধৃত ব্যক্তি এর আগে বেশকিছু অস্ত্রশস্ত্র বিভিন্ন এলাকাতে বিক্রি করেছে। যাদের কাছে বিক্রি করেছে তাদের সন্ধানে ও জেলার বিভিন্ন এলাকায় তল্লাশি শুরু হয়েছে। পুলিশের জেরাতে দ্রুত ব্যক্তি স্বীকার করেছে যে মূলত ৮ থেকে ১০ হাজার টাকায় এই সমস্ত অস্ত্রগুলোর সে বিক্রি করত। আর এই অস্ত্র তৈরির কাঁচামাল সে নিয়ে আসত হাওড়ার বিভিন্ন এলাকা থেকে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.