অংশুপ্রতিম পাল, খড়গপুর: করোনা সংক্রমন বাড়ছে আইআইটি খড়গপুর ক্যাম্পাসে। ১৯ আগস্ট প্রথম সংক্রমণ দেখা গিয়েছিল এখানে। সময় যত গড়াচ্ছে ততই বাড়ছে সংক্রমণ। সব মিলিয়ে এই ক্যাম্পাসে আক্রান্তের সংখ্যা কমবেশি ১০০জন। কোনও ঝুঁকি না নিয়ে প্রথমে কর্তৃপক্ষ আক্রান্তদের কলকাতার বেসরকারি হাসপাতালে পাঠাচ্ছিলেন। পরে খড়গপুর মহকুমা হাসপাতালের সেফ হোমেও পাঠানো হয়। বর্তমানে অবশ্য বেশিরভাগ আক্রান্তই হোম কোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন। করোনা আক্রান্ত কর্মী ও তাঁদের পরিজনদের টেলিমেডিসিনের মাধ্যমে চিকিৎসা সংক্রান্ত পরিষেবা দেবে আইআইটি খড়গপুর (IIT Kharagpur)। যার নাম দেওয়া হয়েছে iMediX। গান্ধীজয়ন্তীতে এই পদ্ধতির উদ্বোধন হয়ে গেল।
এই পদ্ধতিতে বাড়িতে থাকা রোগীও খুব সহজেই পাবেন স্বাস্থ্য পরিষেবা। সংকটকালীন অবস্থাতেও চিকিৎসা সহায়ক এই পদ্ধতিতে ফোন কিংবা ইন্টারনেট ব্রাউজারেই একজন সর্বক্ষণের চিকিৎসক অপর প্রান্ত থেকে রোগীকে সাহায্য করবে। এই সুবিধা পাওয়ার জন্য একজন রোগী তাঁকে দেওয়া ই-মেল আইডিতে সাইন আপ করবেন অথবা তাঁর মোবাইল নম্বরটি পদ্ধতির সঙ্গে যুক্ত করবেন। আক্রান্ত ব্যক্তিকে চিকিৎসা সংক্রান্ত নথি এখানে আপলোড করতে হবে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ সেই নথি পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর একজন চিকিৎসককে তাঁর দায়িত্ব দেবেন। চিকিৎসক সমস্ত নথি খতিয়ে দেখার পর আক্রান্তকে একটি নির্দিষ্ট দিন এবং সময় মেসেজ করে পাঠাবেন। ওই দিন, ওই সময় মোবাইল বা অন্য কোনও মাধ্যমে ভিডিও কনফারেন্স মারফৎ রোগীর সঙ্গে কথাবার্তা, শারীরিক লক্ষণ পরীক্ষা করবেন। তারপর তিনি প্রেসক্রিপশন পাঠাবেন ই-মেলে। যা রোগী ডাউনলোড করে নিতেও পারেন।
আইআইটি খড়গপুরের কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের অধ্যাপক গবেষক জয়ন্ত মুখোপাধ্যায় বলেন, “হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকা রোগীরা এই পরিষেবা পাবেন। তাতে খুবই সুবিধা হবে। পাশাপাশি বয়স্কদের চিকিৎসা সংক্রান্ত ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে এই পদ্ধতি অত্যন্ত ফলপ্রসূ।” ডিরেক্টর অধ্যাপক বীরেন্দ্র কুমার তেওয়ারি বলেন, “এই অতিমারিকে মোকাবিলা করার জন্য এপ্রিল মাসে আমরা ৮টি গবেষণামূলক প্রকল্প গ্রহণ করেছিলাম। এটি তারই একটি। করোনা মোকাবিলায় সামাজিক দূরত্বের নীতি একটি গুরুত্বপূর্ণ উপায়। এই পদ্ধতিতে সেই দূরত্ব বজায় রেখেই চিকিৎসা পরিষেবা দেওয়া সম্ভব। আর আমাদের সমস্ত মেডিক্যাল কার্ড ব্যবহারকারীদের নিজস্ব ই-মেল আ্যকাউন্ট তৈরি করে দিচ্ছি যাতে তাঁরা ভিডিও কলের মাধ্যমে চিকিৎসা সুবিধা নিতে পারেন।” এই সফটওয়্যারটির বাণিজ্যিক সুবিধা নেওয়ার জন্য কর্তৃপক্ষ ইতিমধ্যে রাজ্যের স্বাস্থ্যভবন ও বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন বলে জানা গিয়েছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.