সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, দুর্গাপুর: রাজ্য সরকারি প্রকল্পের নিন্দায় সর্বদা সরব বিজেপি। অথচ সেই প্রকল্পকে হাতিয়ার করেই পঞ্চায়েত ভোটের প্রচার শুরু করল গেরুয়া শিবির। বিজেপি ক্ষমতায় আসলে লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের মাসিক ভাতা চারগুন করা হবে। শনিবার ‘মহাগুরু’ মিঠুন চক্রবর্তীর (Mithun Chakrabarty) উপস্থিতিতে দুর্গাপুরের এক অনুষ্ঠান থেকে এমন প্রতিশ্রুতি দিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার।
শনিবার দুর্গাপুর-ফরিদপুর ব্লকের ঝাঁঝরা কলোনিতে বিজেপির পঞ্চায়েত কর্মী সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বিজেপির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও রাজ্য কোর কমিটির সদস্য মিঠুন চক্রবর্তী ও বিজেপির প্রদেশ সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। সম্মেলনে সুকান্তবাবু বলেন,”বিধায়ক বলছেন হাত কেটে নেবে। কে হাত কাটবে দেখব। জেলের ভিতরে ঠাঁই হবে। ভয় পাবেন না। বিজেপির সরকার গঠন হবে। কয়লা ও বালি চোরেরা জেলের ভিতরে থাকবে।” এরপরই তিনি বলেন, “বিজেপি আসলে লক্ষীর ভাণ্ডারে পাঁচশো টাকার বদলে দুই হাজার টাকা দেওয়া হবে।”
এদিন ‘মহাগুরু’র উপস্থিতিতে বিজেপি পঞ্চায়েত কর্মী সম্মেলন পরিণত হল সাধারণ মানুষের জনসভায়। উপস্থিত দর্শকদের জন্যে ছবি তোলার পোজ দিয়ে শুরু করেন ‘মহাগুরু’ মিঠুন চক্রবর্তী। তিনি বলেন,”থ্যালাসেমিয়ার জন্যে লড়াই করেছি। গলি গলি ঘুরেছি। এখানে আপনার ভেতরে থাকা দুঃখ, কষ্ট শুনতে এসেছি।” এরপরই জনসভায় উপস্থিত মানুষের সঙ্গে সরাসরি কথা বলতে শুরু করেন। কখনও দাদার মতো কখনও ভাইয়ের মতো হয়ে তাঁদের পরামর্শ দেন। যদিও অধিকাংশই অভিযোগ ছিল দলের নেতৃত্বের বিরুদ্ধে। এই ব্যাপারে কখনও জেলা সভাপতি দিলীপ দে আবার কখনও বিধায়ক লক্ষ্মণ ঘড়ুইকে বিষয়টি দেখার কথা বলেন।
এক স্থানীয় মহিলা কাঁদতে কাঁদতে তাঁর অসহায়তার কথা জানালে তাঁকে আলাদা করে সময় দেওয়ার প্রতিশ্রুতিও দেন বাংলার ‘মহাগুরু’। ভোট পরবর্তী সন্ত্রাসের অভিযোগ শুনে মিঠুন বলেন,”এটা পার্ট অফ দ্য গেম। কারোর কিছু না থাকলে হিংসা দেখায়। তৃণমূলের কাছে কিছুই দেওয়ার নেই।” সন্ত্রাসের শিকার দলীয় কর্মীরা জেলা নেতৃত্বকে পাশে না পাওয়ার অভিযোগ জানান। তা শুনে ‘দুঃখজনক’ বলেও এদিন জেলা নেতৃত্বকে সতর্ক করেন মিঠুন।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.