ফাইল ছবি।
জ্যোতি চক্রবর্তী, বনগাঁ: পঞ্চায়েত নির্বাচনের (Panchayet Election) দিনক্ষণ এখনও ঘোষণা হয়নি। তবে তার আগেই লড়াইয়ের মাটি তপ্ত হতে শুরু করেছে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের হুঁশিয়ারি, পালটা হুঁশিয়ারিতে। শুক্রবার বনগাঁর (Bongaon) বিক্ষোভ কর্মসূচি থেকে বনগাঁ দক্ষিণ কেন্দ্রের বিজেপি বিধায়ক স্বপন মজুমদারের হুঁশিয়ারি, ”পঞ্চায়েত ভোট সুষ্ঠুভাবে না হলে রক্তগঙ্গা বইয়ে দেওয়া হবে। ভোটের দিন ভোট করতে আসলে তৃণমূল হোক বা প্রশাসন, চ্যালা কাঠ পিঠে দেবেন৷” এর জবাবে তৃণমূল বিধায়কের বক্তব্য, ”বিজেপি বিধায়করা বুঝতে পারছেন তাদের পায়ের তলার মাটি সরে গিয়েছে। তাই অশ্লীল কথা বলছেন।”
শুক্রবার বনগাঁর গাঁড়াপোতা গ্রাম পঞ্চায়েতে বিজেপির (BJP) পক্ষ থেকে বিক্ষোভ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়েছিল। আবাস যোজনায় দুর্নীতির অভিযোগ তুলে প্রতিবাদে সরব হন দলের বিধায়ক, নেতা, কর্মীরা। পরে পঞ্চায়েত প্রধান সুশান্ত দত্তর কাছে স্মারকলিপি জমা দেয় বিজেপির প্রতিনিধি দল৷ সেই যোগ দিয়েছিলেন বনগাঁ দক্ষিণ (Bongaon Dakshin) কেন্দ্রের বিজেপি বিধায়ক স্বপন মজুমদার ও বনগাঁ সাংগঠনিক জেলার সভাপতি রামপদ দাস৷ স্বপনবাবু পুলিশ প্রশাসন ও তৃণমূলের উদ্দেশে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, “পঞ্চায়েত ভোট সুষ্ঠুভাবে না হলে রক্তগঙ্গা বইয়ে দেওয়া হবে। ভোটের দিন ভোট করতে আসলে তৃণমূল হোক বা প্রশাসন, চ্যালা কাঠ পিঠে দেবেন৷”
এখানেই শেষ নয়। এদিনের প্রতিবাদ সভায় যোগ দিয়ে তৃণমূল পরিচালিত গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধানকে রাস্তায় টেনে এনে জুতোপেটা করার হুমকি দিতে শোনা গেল বনগাঁ উত্তর কেন্দ্রের বিজেপ বিধায়ক অশোক কীর্তনিয়া৷ হুঁশিয়ারি দিয়ে তিনি বলেন, ”প্রধানকে বুঝিয়ে দিতে চাই, সাবধান না হলে যেসব মানুষ ঘর পায়নি, তাঁরা আপনাকে অফিস থেকে টেনে রাস্তায় নিয়ে আসবে৷ তারপর জুতোপেটা করবে। এখনও সাবধান হয়ে যান।” তৃণমূলের বনগাঁ সাংগঠনিক জেলার সভাপতি বিশ্বজিৎ দাসকে ‘বেইমান, অপদার্থ’ বলেও উল্লেখ করেছেন বিজেপি বিধায়ক অশোক কীর্তনিয়া৷ তাঁর কথায়, ”কান্নাকাটি করে হাতে-পায়ে ধরে বিশ্বজিৎ দাস বিজেপির টিকিট পেয়েছিলেন। বিধানসভা ভোটে বিজেপি কর্মীদের রক্তের বিনিময়ে তিনি বিধায়ক হয়েছিলেন৷ তারপরে তিনি বেইমানি করে তৃণমূলে গিয়ে জেলা সভাপতি হয়েছেন৷”
বিজেপি বিধায়কদের এহেন বক্তব্যের পালটা জবাবও দিয়েছেন তৃণমূলের (TMC) সাংগঠনিক জেলা সভাপতি। বিশ্বজিৎ দাস বলেন “অন্ধকার জগতের লোকজন রাজনীতিতে এলে মানুষের ভাষায় কথা বলেন না। বিজেপি বিধায়কেরা বুঝতে পারছেন, তাঁদের পায়ের তলার মাটি সরে গিয়েছে। তাই অশ্লীল কথা বলছেন। মানুষের ভাষা ওঁরা বোঝেন না।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.