সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: নন্দীগ্রামের গোকুলনগরে তৃণমূলের শহিদ স্মরণ মঞ্চে আগুন। অভিযোগের তির বিজেপির দিকে। প্রতিবাদে সরব রাজ্যের শাসকদল। তেখালি-নন্দীগ্রাম রাজ্য সরকার অবরোধ ভূমি উচ্ছেদ প্রতিরোধ কমিটি ও তৃণমূলের। ঘটনাস্থল পরিদর্শনে কুণাল ঘোষ, শশী পাঁজা। ৩ দিনের মধ্যে দোষীরা গ্রেপ্তার না হলে অনশনের হুঁশিয়ারি তৃণমূল রাজ্য সাধারণ সম্পাদকের।
শুক্রবার সকালে দেখা যায় নন্দীগ্রামে (Nandigram) শহিদ তর্পণ মঞ্চের একটি অংশ পুড়ে গিয়েছে। তৃণমূল নেতৃত্বের অভিযোগ, সারদিন নন্দীগ্রাম শহিদ দিবস নিয়ে রাজনীতির চেষ্টা করেছিল বিজেপি। তাতে কোনও দাগ কাটতে না পেরে রাতের অন্ধকারে তৃণমূলের তৈরি মঞ্চ পোড়ানো হয়েছে। ঘটনার প্রতিবাদে তেখালি-নন্দীগ্রাম সড়ক যৌথভাবে অবরোধ করে নন্দীগ্রাম ভূমি উচ্ছেদ প্রতিরোধ কমিটি এবং তৃণমূল। বিকেলে ওই এলাকায় যান তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ ও মন্ত্রী শশী পাঁজা। অগ্নিদগ্ধ ওই মঞ্চের সামনে দাঁড়িয়ে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে তোপ দাগেন।
তিনি বলেন, “আমরা সহযোগিতা করা মানে এই নয় যে পুলিশ দাঁড়িয়ে থাকবে আর বিজেপির গুন্ডারা গুঁড়িয়ে দিয়ে যাবে। যা ঘটেছে আমাদের তা ভাল লাগেনি। একপক্ষ সৌজন্য দেখাবে। আরেকপক্ষ মঞ্চ ভাঙবে হতে পারে না। যাদের নামে অভিযোগ জমা পড়েছে তাদের প্রত্যেককে গ্রেপ্তার করতে হবে। বাড়িতে এনআইএ, সিবিআই পাঠাচ্ছে। মিথ্যা মামলায় দলীয় নেতা-কর্মীদের ফাঁসানো হচ্ছে। ওরা এনআইএ পাঠাবে আর আমরা রসগোল্লা পাঠাব। দু’টো একসঙ্গে হবে না। নন্দীগ্রামের আইসিকে বলতে চাই অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা করতে হবে। ৩ দিনের মধ্যে দোষীদের গ্রেপ্তারির ছবি দেখতে না পারলে আমরা নন্দীগ্রাম থানায় অনশনে বসব।”
মন্ত্রী শশী পাঁজাও মঞ্চে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় বিজেপির বিরুদ্ধে সুর চড়ান। তিনি হামলাকারীদের ‘সন্ত্রাসবাদী’ বলে কটাক্ষ করেন। তাঁর কথায়, “শ্রদ্ধা জানানোর অধিকার প্রত্যেকের আছে। আমরা তাই করেছিলাম। আর তারপর হয়েছে অপমান। ওরা মালা খুলল। গঙ্গাজল দিয়ে জায়গা পরিষ্কার করল। কেন আপনারা কী অপবিত্র, অলক্ষ্মী? হার্মাদ হার্মাদই হয়। চরিত্র কখনও বদলায় না।” যদিও তৃণমূলের অভিযোগ অস্বীকার করেছে বিজেপি।
দেখুন ভিডিও:
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.