টিটুন মল্লিক: রাজ্যে রেশন দুর্নীতি রুখতে কড়া বার্তা দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর হুঁশিয়ারি, স্রেফ প্রশাসনিক ব্যবস্থাই নয়, দুর্নীতি ধরা পড়লে প্রয়োজনে রেশন ডিলারের লাইসেন্সও বাতিল করা হবে। এদিকে বাঁকুড়ায় আচমকাই রেশন দোকানে হানা গিতে গিয়ে বিপাকে পড়লেন খোদ জেলাশাসকই। দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করেও দেখা মিলল না অভিযুক্ত রেশন ডিলারের। শেষপর্যন্ত জেলাশাসকের নির্দেশে দোকানটি সিল করে দিল প্রশাসন।
প্রতি সোমবার নিয়ম করে নিজের দপ্তরে দরবার বসানোর জন্য জেলাশাসকদের নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই দরবারে সরাসরি সাধারণ মানুষের মুখ থেকে অভাব-অভিযোগের কথা শুনতে হবে জেলাশাসককে। জানা গিয়েছে, গত সোমবার যখন সাধারণ মানুষের অভাব-অভিযোগ শুনছিলেন জেলাশাসক উমাশংকর এস, তখন তাঁর কাছে বাঁকুড়া দুই নম্বর ব্লকের এক্তেশ্বর এলাকার রেশন ডিলারের বিরুদ্ধে অভিযোগ জমা জানানো হয়। স্থানীয় বাসিন্দাদের বক্তব্য, ওজনে কারচুপি ও বরাদ্দের থেকে কম সামগ্রী দেওয়াই শুধু নয়, রেশন ডিলার কার্ড আটকে রাখায় অনেক সময়ই চাল-ডাল-চিনি নিতে পারেন না তাঁরা। এমনকী, দোকানটি নিয়মিত খোলেও না। পরিস্থিতি সরেজমিনে খতিয়ে দেখতে ডিলারকে না জানিয়েই বুধবার এক্তেশ্বর এলাকায় যান বাঁকুড়ার জেলাশাসক উমাশংকর এস। কিন্তু ততক্ষণে অভিযুক্ত রেশন ডিলার ঢোলগোবিন্দ দেঘড়িয়া গা-ঢাকা দিয়েছেন। জানা গিয়েছে, সকালে প্রায় ঘণ্টা খানেক ওই রেশন দোকানের সামনে দাঁড়িয়েছিলেন জেলাশাসক। কিন্তু, রেশন ডিলারের দেখা পাননি। এমনকী, তাঁর পরিবারের লোকেরা নানাভাবে জেলাশাসককে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করেন বলে অভিযোগ। শেষপর্যন্ত রেশন দোকানটি সিল করে চলে যান বাঁকুড়ার জেলাশাসক উমাশংকর এস।
এদিকে জেলাশাসকের সঙ্গে বাঁকুড়ার এক্তেশ্বর এলাকায় ওই রেশন দোকানে ‘সারপ্রাইজ ভিজিট’-এ গিয়েছিলেন বাঁকুড়া সদর ব্লকের খাদ্য দপ্তরের ইনচার্জ বাবুয়া সর্দার। তাঁকে রীতিমতো ধমক খেতে হয়। ঘটনার তদন্তের আশ্বাস দিয়েছেন বাঁকুড়া জেলা খাদ্য নিয়ামক আবির বালি। তাঁর দাবি, অভিযোগ পেয়ে অভিযান চালানো হয়েছিল। অভিযুক্ত রেশন ডিলারের সন্ধান পাওয়া যায়নি।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.