Advertisement
Advertisement

Breaking News

Kalipuja

সোনা-রুপোর গয়নায় সাজানো প্রতিমাকেই বিসর্জন দেওয়া হয়, জানুন মুর্শিদাবাদের এই শ্যামাপুজোর ইতিহাস

পুজোর সূচনা নিয়ে শোনা যায় নানারকম গল্প।

Idol immersed with gold and silver jwellery in Murshidabad Kalipuja | Sangbad Pratidin

ফাইল ছবি

Published by: Tiyasha Sarkar
  • Posted:October 23, 2022 4:22 pm
  • Updated:October 23, 2022 6:27 pm  

অতুলচন্দ্র নাগ, ডোমকল: কেউ বলেন পাঁচশো বছর, কারও কথায় তারও আগে শুরু হয়েছিল পুজো। প্রথা মেনে আজও মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) ইসলামপুরের পাহাড়পুরে সাড়ম্বরে শ্যামা পুজোর আয়োজন করেন স্থানীয়রা। সোনা-রূপোর গয়নায় সাজিয়েই মণ্ডপের কাছেই বড়বিলে বিসর্জন হয় দেবীর।

এই পুজোর প্রতিষ্ঠাতা কারা তা নিয়ে দ্বন্দ রয়েছে এলাকায়। কেউ বলেন ডাকাতরা মায়ের পুজো দিয়ে শীতের মরশুমে ডাকাতি শুরু করত। কেউ বলেন অন্য কথা। যেখানে পুজো হয় তার পাশেই বড় বিলা। সারাবছর জল থাকত সেখানে। ওই বিলে নাকি অনেক অলৌকিক ঘটনা ঘটত। বিলের জলে নৌকাডুবিও হয়েছে। অলৌকিক ঘটনা থেকে মুক্তি পেতে হাত থেকে বিলের ধারেই শক্তির দেবী কালীর পুজো (Kali Puja 2022) দিয়ে মাছ ধরা শুরু করতেন মৎসজীবীরা। সেই থেকেই শুরু পুজো। আজও প্রাচীন রীতি মেনেই পুজিতা হন দেবী।

Advertisement

[আরও পড়ুন: অভিষেকের অসুস্থতা নিয়ে কটাক্ষ কেন? সরব নওশাদ, প্রশ্ন রাজ্যের চিকিৎসা ব্যবস্থা নিয়েও]
 

পুজো কমিটির কোষাধ্যক্ষ রাজু সরকার  জানান, “মা কালী জাগ্রত। মনস্কামনা পূরণ হয় সকলের। তাই এটা ‘ইচ্ছে পুরণের কালী’ হিসেবে পরিচিত। তিনি জানান, “শুরু থেকেই এই পুজো এক রাতের। পরের দিনই মন্দিরের সামনে বড় বিলায় প্রতিমা বিসর্জন দেওয়া হয়।” জানা গিয়েছে, প্রতিবছর নাকি সোনা ও রূপোর গয়না পরিয়েই বিসর্জন দেওয় হয় প্রতিমা। কোষাধ্যক্ষ জানান, “গত বছরেও মানতের প্রায় দু’ভরি সোনার গয়না ও ৪ ভরি রূপোর গয়না পরিয়ে প্রতিমা বিসর্জন দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু আজ অবধি কোনওবছরই নাকি দেবীর সঙ্গে দেওয়া গয়না ফিরে পাওয়া যায়নি।”

জানা গিয়েছে, পুজোর পরেরদিন এলাকায় মেলা বসে। মন্দিরের কাছেই বসে কবিগানের আসর। সারাদিন সমাজের সব সম্প্রদায়ের মানুষ আসেন মেতে ওঠেন তাতে। এই সব অনুষ্ঠান শেষে গভীর রাতের দিকে বড় বিলার জলে বিসর্জন দেওয়া হয়। যার সঙ্গে সঙ্গে মেলাও উঠে যায়।

[আরও পড়ুন: বাগডোগরায় চা বাগানের জলাশয়ে নাকানিচোবানি চিতাবাঘের! বহু চেষ্টাতেও হল না প্রাণরক্ষা]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement