শুভদীপ রায়নন্দী ও শান্তনু কর: সোমবার পঞ্চমবার শিলিগুড়ির করোনা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে বের হলেন কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষকরা। ফুলবাড়ির বিভিন্ন এলাকা ঘুরে জ্যোতিনগরে যান তাঁরা। ঘুরে দেখেন গোটা এলাকা। ক্ষোভ প্রকাশ করেন ‘কনটেইনমেন্ট জোন’ জ্যোতিনগরের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা পুলিশের ভূমিকা নিয়ে। সেখান থেকে জলপাইগুড়ি যান ৫ সদস্যের প্রতিনিধি দল।
জানা গিয়েছে, সোমবার সকালেই উত্তরবঙ্গে তিন ক্লাস্টার জেলা পরিদর্শনে আসা কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল হাজির হয় শিলিগুড়ির ফুলবাড়ি এলাকায়। সেখানে আটকে থাকা ভিনরাজ্যের একাধিক শ্রমিকের সঙ্গে কথা বলেন তাঁরা। বর্তমান পরিস্থিতিতে তাঁদের খাদ্যের উৎস কী তা জিজ্ঞেস করেন। খতিয়ে দেখেন ওই এলাকায় লকডাউনের নিয়ম আদৌ মানা হচ্ছে কি না। এরপর সেখান থেকে পৌঁছে যান শিলিগুড়ি পুরনিগরমের ৪১ নম্বর ওয়ার্ড অর্থাৎ জ্যোতিনগর এলাকায়। স্বাস্থ্য দপ্তরের তরফে ‘কনটেইনমেন্ট জোন’ হিসেবে চিহ্নিত ওই এলাকা পরিদর্শনের পর ক্ষোভ প্রকাশ করেন প্রতিনিধি দলের সদস্য ব্রিগেডিয়ার অজয় গাঙ্গোয়ার। কারণ, ওই এলাকার নিরাপত্তার দায়িত্বে যারা ছিলেন, তাঁরা কেউ মাস্ক পরেছিলেন না। ব্যবহার করতে দেখা যায়নি স্যানিটাইজারও।
এতে কিছুটা ক্ষুব্ধ হয়ে নিরাপত্তা দায়িত্বে থাকা ব্যক্তিদের মাস্ক ও স্যানিটাইজার ব্যবহার করতে বলেন কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষকরা। প্রসঙ্গত, ওই জ্যোতিনগর এলাকারই বাসিন্দা ছিলেন করোনা সংক্রমণে মৃত কালিম্পংয়ের মহিলার পরিবারের সদস্যরা। তাই ওই এলাকার নিরাপত্তার দায়িত্বপ্রাপ্তদের আরও বেশি সচেতন হওয়া প্রয়োজন। এরপর একটি কোভিড হাসপাতাল পরিদর্শন সেরে সেখান থেকে জলপাইগুড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দেন পর্যবেক্ষকরা। সেখানে পৌঁছে করোনা হাসপাতালের যাওয়ার পথে রানীনগরের আরএন হাইস্কুলের রিলিফ ক্যাম্প ঘুরে দেখেন পর্যবেক্ষকরা। কথা বলেন ক্যাম্পের আবাসিকদের সঙ্গে। খতিয়ে দেখেন তাঁদের খাবারের আয়োজন। উল্লেখ্য, বেশ কয়েকদিন আগে এ রাজ্যে আসে কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল। একাধিক দলে ভাগ হয়ে উত্তর এবং দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শন করছেন তাঁরা।
দেখুন ভিডিও:
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.