দেবব্রত মণ্ডল, দক্ষিণ ২৪ পরগনা: সামান্য মাইনের চাকরি৷ সেই রোজগারে অনেকেরই সংসার চলে৷ কিন্তু, দীর্ঘদিন চাকরি করার পর যখন অবসর নেন, তখন খালি হাতে ফিরতে হয় অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীদের৷ সরকারি কর্মীদের মতো অবসরকালীন সুযোগ-সুবিধা পান না তাঁরা৷ দক্ষিণ ২৪ পরগনার ক্যানিংয়ে চাঁদা তুলে অবসরপ্রাপ্ত সহকর্মীদের আর্থিক সাহায্য করলেন অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীরা৷
কেন্দ্রীয় সরকারি প্রকল্পে চাকরি পেয়েছেন৷ কিন্তু, সরকারি কর্মীদের সুযোগ-সুবিধা তো দুর অস্ত, এ রাজ্যের অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীদের মাইনে চার-পাঁচ হাজার টাকার বেশি নয়৷ সরকারি নিয়মে ষাট বছর পর্যন্তই চাকরি করতে পারেন তাঁরা৷ কিন্তু, পেনশন বা অবসরকালীন কোনও সুযোগ-সুবিধা নেই৷ এ রাজ্যের অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীর সংখ্যা কম নয়৷ কেউ অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে রাঁধুনির কাজ করেন, কেউ আবার শিশুদের পড়াশোনার প্রাথমিক পাঠ দেন৷ চাকরি থেকে অবসর নেওয়ার পর আর্থিক অনটনে পড়তে হয় সকলেই৷ এই পরিস্থিতিতে অবসরপ্রাপ্ত কর্মীদের সাহায্যে এগিয়ে এলেন কর্মরত অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীরাই৷
[ খেলার মাঠে কুড়িয়ে পাওয়া মানিব্যাগ ফিরিয়ে সততার নজির বালকের]
দক্ষিণ ২৪ পরগনা ক্যানিং ১ নম্বর ব্লকে চাঁদা তুলে লক্ষাধিক টাকা তহবিল তৈরি করেছেন কর্মরত অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীরা৷ সেই তহবিল থেকে অবসরপ্রাপ্তদের আর্থিক সাহায্য করলেন তাঁরা৷ এমন মানবিক উদ্যোগে আপ্লুত ব্লকের প্রাক্তন অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীরা৷ হরিদাসী বিশ্বাস, কল্পনা মণ্ডলরা জানালে, অবসর নেওয়ার পরেও যে টাকা পাবেন, তা ভাবতেই পারেননি তাঁরা৷ আর যাঁরা সাহায্য করলেন, খুশি তাঁরাও৷ ১৯৭৫ সালে দেশের মহিলা ও শিশুদের অপুষ্টি রোধ করতে এদেশে অঙ্গনওয়াড়ি প্রকল্প চালু করেছিলেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী৷ নারী ও শিশুকল্যাণ মন্ত্রকের তত্ত্বাবধানে এখন সারাদেশে চলে এই প্রকল্পটি৷ অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী হিসেবে কাজ করেন বহু মহিলা৷
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.