Advertisement
Advertisement
অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র

অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র যেন মরণফাঁদ, বাঁকুড়ায় ভেঙে পড়া বাড়িতেই প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত

২০১০ সাল থেকে বাঁকুড়ার মোবারকপুরে ভাঙা বাড়িতেই চলছে কেন্দ্রটি৷

ICDS centre in Bankura is running with its bad condition
Published by: Sucheta Sengupta
  • Posted:July 15, 2019 12:26 pm
  • Updated:July 15, 2019 12:26 pm  

টিটুন মল্লিক, বাঁকুড়া: ভগ্নপ্রায় বাড়িতেই কয়েক বছর ধরে চলছে অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র। ওই ধ্বংস হতে চলা জীর্ণ বাড়িটিতেই প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে প্রতিদিন প্রসূতি মা-সহ এলাকার কচিকাঁচারা খাবার খেতে যান। স্থানীয়দের আশঙ্কা, যে কোনও সময় ভেঙে পড়তে পারে বাড়িটি। ঘরের চাঙর ভেঙে পড়ায় ছোটদের পড়াশোনা প্রায় লাটে উঠতে বসেছে।

[আরও পড়ুন: বোমা-বারুদে অশান্তি অব্যাহত, প্রতিবাদে কাঁকিনাড়ায় রেল অবরোধ]

বাঁকুড়ার মোবারকপুরের ওই অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের কর্মীরা বলছেন, ভগ্নপ্রায় এই বাড়িটিতে ঢোকার পর থেকেই সবসময় তাঁরা প্রাণের আশঙ্কায় থাকেন। শীতকাল ছাড়া বছরের অন্যান্য দিনগুলিতে চাঙর ভেঙে ঝুলতে থাকা বাড়ির বাইরে ক্লাস হলেও অভিভাবকরা সন্তানদের সেখানে পাঠান না। তবে জানা গিয়েছে, এই অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রটির জন্য একটি নতুন ভবন নির্মাণের কাজ শুরু হলেও অজ্ঞাত কারণে তা সম্প্রতি বন্ধ হয়ে গিয়েছে। কিন্তু কেন বন্ধ হয়ে গেল নতুন ভবন তৈরির কাজ? সে প্রশ্নের অবশ্য কোনও উত্তর পাওয়া যায়নি।

Advertisement

স্থানীয়দের অভিযোগ, ২০১০ সাল থেকে এই ভাঙা বাড়িটিতেই অঙ্গওয়াড়ি কেন্দ্র চলছে,অথচ হুঁশ নেই প্রশাসনের। কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের ঘোষণা মোতাবেক মাত্র একমাস বর্ধিত বেতন পেলেও চলতি ডিসেম্বর মাসে ফের বেতন কমে যাওয়ায় ক্ষোভে ফুঁসছেন বাঁকুড়ার অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের কর্মীরা। বেতন কমিয়ে দেওয়ার প্রতিবাদে গত সপ্তাহে বাঁকুড়ার জেলাশাসক উমাশংকর এসের কাছে স্মারকলিপি দিয়ে এসেছেন এই জেলার অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের কর্মীরা। তবে এই বিক্ষোভ আন্দোলনে অবশ্য সহায়িকারা অংশ নেন নি।

[আরও পড়ুন: মনুয়াকাণ্ডের রায়দান স্থগিত বারাসত আদালতে, হতাশ নিহতের পরিবার]

ওই অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে আসা এক শিশুর অভিভাবক নমিতা নন্দী বলেন, ‘‘বাধ্য হয়ে আমাদের ওখানে বাচ্চাদের পাঠাতে হয়।” স্থানীয় বাসিন্দা পূর্ণিমা মুখোপাধ্যায় বলেন, “স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েতে বারবার বিষয়টি জানিয়েও কোনও লাভ হয়নি।” এ বিষয়ে বাঁকুড়া জেলা পরিষদের সভাধিপতি মৃত্যুঞ্জয় মুর্মু বলেন, “বিষয়টি খতিয়ে দেখে অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” তবে তার আগে পর্যন্ত জীবনের ঝুঁকি নিয়েই অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে যেতে হচ্ছে প্রসূতি মা ও ছেলেমেয়েদের৷

২০২৪ এর পূজা সংক্রান্ত সমস্ত খবর জানতে চোখ রাখুন আমাদের দেবীপক্ষ -এর পাতায়।

চোখ রাখুন
Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement