টিটুন মল্লিক, বাঁকুড়া : বচসা চলাকালীন স্বামীর কুড়ুলের ঘায়ে মৃত্যু হল স্ত্রীর। পরে অনুশোচনায় গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মঘাতী হলেন স্বামীও। ঘটনাস্থল বাঁকুড়া জেলার বড়জোড়া থানার ঘুরঘুরিয়া এলাকা। মঙ্গলবার সন্ধ্যার এই ঘটনায় এলাকা চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। জানা গিয়েছে, স্ত্রীর নাম মন্দিরা বন্দ্যোপাধ্যায় (২৬)।স্বামীর নাম রহিত বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁদের একবছরের একটি মেয়েও আছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ওই দম্পতি মধ্যে বচসা শুরু হয়।ঝগড়াঝাঁটি চলাকালীন রহিত, মন্দিরাকে কুড়ুল দিয়ে আঘাত করে। সঙ্গে সঙ্গে মাটি্তে লুটিয়ে পড়ে মন্দিরা। স্ত্রীকে ওই অবস্থায় দেখে ভয় পেয়ে যায় রোহিত। সঙ্গে সঙ্গে বাড়ি থেকে পালিয়ে যায় সে। এদিকে দীর্ঘক্ষণ অশান্তি চলার পর হঠাৎই সব চুপচাপ হয়ে যাওয়ায় প্রতিবেশীদের সন্দেহ হয়। তাঁরা রহিত-মন্দিরার বাড়িতে এসে দেখেন ঘরের ভিতরে রক্তাক্ত অবস্থায় মন্দিরা পড়ে রয়েছেন। স্বামী বেপাত্তা।
এর কিছুক্ষণ পরে বাড়ি থেকে কিছুটা দূরে রহিতকে গলায় ফাঁস দিয়ে ঝুলতে দেখেন স্থানীয় বাসিন্দারা। তাঁদের অনুমান, রাগের মাথায় মন্দিরাকে আঘাত করেছিল সে। কিন্তু তাতে মন্দিরার মৃত্যু হবে সেটা ভাবতেও পারেনি রহিত। তাই ভয়ে অনুশোচনায় আত্মঘাতী হয় সে। স্থানীয়রা পুলিশে খবর দেয়। বড়জোড়া থানার পুলিশ এসে দুটি দেহ উদ্ধার করে নিয়ে যায়। তবে কেন রোহিত তাঁর স্ত্রীকে খুন করল সে প্রশ্নের কোনও উত্তর পুলিশ দেয়নি।
প্রতিবেশীরা জানান, এই দম্পতির এক বছরের কন্যা সন্তান রয়েছে। দুজনের কথা কাটাকাটি চলার সময়অন্যান্য দিনের মতোই প্রতিবেশীদের সঙ্গে খেলা করছিল ওই দম্পতির এক বছরের কন্যা সন্তান। কিন্তু বাবা-মার মৃত্যুর পর শিশুটি কোথায় যাবে, তা নিয়ে প্রতিবেশীদের কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়েছে। স্থানীয় সূত্রে খবর, এলাকার একটি কারখানায় শ্রমিকের কাজ করতেন রহিত। গত কয়েকদিন আগে স্ত্রী ও সন্তানকে নিয়ে শ্বশুরবাড়ি গিয়েছিলেন তিনি। দিন কয়েক শ্বশুরবাড়িতে কাটিয়ে মঙ্গলবারই বাড়ি ফেরেন রহিত ও তাঁর পরিবার। এরপরই সন্ধ্যের থেকে ওই দম্পতি ঝগড়াঝাঁটি শুরু করেন।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.