ছবি: প্রতীকী
অভিষেক চৌধুরী, কালনা: বিয়ে হয়েছে বেশ কয়েক বছর আগেই। তার পরেও স্ত্রীকে বিশ্বাস করতে পারেননি স্বামী। মনে করতেন, অন্য ছেলের সঙ্গে সম্পর্ক রাখেন তাঁর স্ত্রী। ফোনে কথা বলা নিয়ে তুমুল অশান্তি। স্রেফ সন্দেহের বশে চলত লাগাতার অত্যাচার। শেষে মুখ খেঁতলে বটির বাট দিয়ে খুন করা হল বধূকে। কালনার (Kalna) এই ঘটনায় থানায় অভিযোগ দায়ের হয়েছে। গ্রেপ্তার হয়েছে অভিযুক্ত স্বামীও।
সন্দেহের বশে স্ত্রীকে নৃশংসভাবে খুন করার অভিযোগে স্বামীকে গ্রেপ্তার করে কালনা থানার পুলিশ। ধৃতের নাম রাকিব শেখ। তাঁর বাড়ি কালনা থানার কৈখালি গ্রামে। মৃত স্ত্রীর নাম মরিয়ম বিবি (২৬)। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মরিয়মের পরিবার কালনা থানায় অভিযোগ জানালে পুলিশ প্রথমে বধূ নির্যাতনের মামলা রুজু করে ও পরে তাঁর স্বামীকে গ্রেপ্তার করে। চিকিৎসাধীন আক্রান্ত যুবতীর মৃত্যুর পরে স্বামীর বিরুদ্ধে পুলিশ ওই মামলার সঙ্গেই খুনের মামলা রুজু করে। ধৃতকে বুধবার কালনা মহকুমা আদালতে তোলা হলে বিচারক তাঁকে সাতদিনের পুলিশ হেপাজতের নির্দেশ দেন।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে,কালনা বাঘনাপাড়া পঞ্চায়েতের কৈখালি গ্রামের বাসিন্দা রাকিব শেখের সঙ্গে স্থানীয় বিজারা এলাকার বাসিন্দা মরিয়মের বিয়ে হয় বেশ কয়েক বছর আগে। তাঁদের সন্তানও রয়েছে। অভিযোগ,বিয়ের পর থেকেই স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজনেরা মরিয়মের উপর বিভিন্নভাবে অত্যাচার চালাত। শুধু তাই নয়,মরিয়মের অন্য জায়গায় সম্পর্ক রয়েছে এমনই সন্দেহ করে তাঁর উপর অত্যাচার বাড়াতে থাকে তাঁর স্বামী রাকিব। এই কারণে মরিয়মকে নৃশংসভাবে মারধর করে বলে অভিযোগ।
এরপরেই তাঁকে কালনা সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে ভরতি করা হয়। শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে মঙ্গলবার বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়।সেখানে তাঁর মৃত্যু হয়।মৃতার মা সাকিলা শেখ বলেন,“ফোনে কথা বলা নিয়ে মেয়েকে সবসময় জামাই সন্দেহ করত। বিয়ে হওয়ার পর থেকেই মারধর ও অত্যাচার বাড়তে থাকে। তিনদিন ধরে সেই অত্যাচার আরও বেড়ে যায়।ওইদিন মুখে দুরমুশ দিয়ে চেপে ধরে ও মাথায় বঁটির বাঁট দিয়ে মারধর করে। এই ঘটনায় জামাইয়ের কঠোরতম শাস্তির দাবি জানাই।” অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ রাকিব শেখকে গ্রেপ্তার করে ও তাঁকে নিজেদের হেফাজতে নেয়।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.