তদন্ত চালাচ্ছে পুলিশ।
সুমন করাতি, হুগলি: স্ত্রীর অন্য পুরুষের সঙ্গে অবৈধ সম্পর্ক আছে। সেই সম্পর্কের কথা জেনে ফেলায় খুন হতে হল স্বামীকে? বাড়ির কাছেই উদ্ধার হল ওই ব্যক্তির রক্তাক্ত মৃতদেহ। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে হুগলির দেবানন্দপুর দক্ষিণ নলডাঙা সৃজনপল্লিতে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃতের নাম রমেশ মুদালিয়া। ওই এলাকাতেই তাঁর বাড়ি। আজ শুক্রবার সকালে ওই এলাকাতেই বাড়ির কাছে রমেশের রক্তাক্ত মৃতদেহ পাওয়া যায়। শরীরের একাধিক জায়গায় ধারালো অস্ত্রের দাগ রয়েছে। মৃতদেহ স্থানীয়রা দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর দেন। মৃতের স্ত্রী ভারতী ও শাশুড়িকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ।
পুলিশ মৃতদেহটি দেখে প্রাথমিকভাবে খুনের কথাই মনে করছে। ওই এলাকাতেই খুন করা হয়েছে? না কি অন্য কোথাও? সেই সব খতিয়ে দেখা হচ্ছে। পুত্রবধূর বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক রয়েছে। সেজন্যই ছেলেকে খুন হতে হল। মৃতদেহ উদ্ধারের পর চাঞ্চল্যকর অভিযোগ এনেছেন রমেশের মা ও পরিবার।
স্থানীয় সূত্রে খবর, রমেশ ও ভারতীর বছর দশেক আগে বিয়ে হয়। তাঁদের আট বছরের একটি পুত্রসন্তান রয়েছে। মাস ছয়েক আগে তাঁরা টাওয়ার বাগান এলাকায় ওই বাড়ি ভাড়া নিয়ে থাকতে শুরু করেন। জানা গিয়েছে, মাদক মামলায় জেলবন্দি ছিলেন রমেশ। মাস দেড়েক আগে তিনি ছাড়া পান। স্ত্রীর অন্য যুবকের সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে অশান্তি হত। গতকালও অশান্তি হয় বলে খবর। আর তারপরেই আজ সকালে বাড়ি থেকে কিছুটা দূরে একটা ফাঁকা জমিতে মৃতদেহ পাওয়া গেল।
মৃতের সৎ মা নাগরানি মুদালিয়া বলেন, “বউমার অন্য পুরুষের সঙ্গে সম্পর্ক ছিল। ওই রমেশকে খুন করিয়েছে।” মৃতের ভাই উমেশ মুদালিয়া বলেন, “বউদির বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক ছিল। যা নিয়ে অশান্তি হত। লোক দিয়ে দাদাকে খুন করিয়েছে।” পুলিশ মৃতদেহ ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে। চন্দননগর কমিশনারেটের এসিপি (ডিডি) সুমন চট্টোপাধ্যায় ঘটনাস্থলে তদন্তে গিয়েছিলেন।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.