অভিষেক চৌধুরী, কালনা: লাথি মেরে স্ত্রীর গর্ভস্থ সন্তান নষ্ট করার মতো গুরুতর অভিযোগ উঠল স্বামীর বিরুদ্ধে। জড়িত শ্বশুরবাড়ির লোকজনও। মর্মান্তিক ঘটনা কালনার (Kalna) ধর্মডাঙার। সন্তান নষ্ট হওয়ার অসুস্থতা কাটিয়ে হাসপাতাল থেকে বেরিয়েই কালনা থানার দ্বারস্থ হন গৃহবধূ। লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযুক্ত স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজন পলাতক বলে খবর।
সংসার করলেও সন্তান নেওয়া যাবে না। কার্যত এমনই নিদান দিয়েছিল স্বামী। কিন্তু তা মেনে নিতে চাননি স্ত্রী। তিনি মা হতে চেয়েছিলেন। তারই মাশুল দিতে হল তাঁকে। বছর খানেক আগে হুগলির (Hooghly) বলাগড় থানার বাসিন্দা চায়না বিবির কালনার ধর্মডাঙার কামালউদ্দিন মণ্ডলের। মাস ছয় পরই চায়না সন্তানসম্ভবা (Pregnant) হয়ে পড়েন। তা জানার পরপরই কামালউদ্দিন স্ত্রীকে গর্ভপাতের জন্য চাপ দিতে থাকেন বলে অভিযোগ। তাকে সমর্থনও করেন শ্বশুরবাড়ির সকলে। কিন্তু সন্তান নষ্ট করতে কিছুতেই রাজি হননি চায়না বিবি। যে কোনও প্রতিকূলতার বিরুদ্ধে লড়াই করে সন্তানকে পৃথিবীর আলো দেখাতে বদ্ধপরিকর ছিলেন তিনি।
তবে চায়না বিবির এই স্বপ্ন সফল হয়নি। অভিযোগ, দিন দুই আগে স্ত্রীর সঙ্গে চরম অশান্তি হয় কামালউদ্দিনের। অভিযোগ, তারপরই তিনি স্ত্রীর পেটে লাথি (Kick) মারেন। চায়না বিবির পেটে যন্ত্রণা এবং রক্তক্ষরণ শুরু হয়। তা দেখে স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজন কালনা সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালে ভরতি করে পালিয়ে যায়। চিকিৎসকরা পরীক্ষানিরীক্ষা করে তাঁর গর্ভে থাকা চার মাসের মৃত সন্তানকে বের করে প্রাণ বাঁচান। এরপর সেখানে চিকিৎসার পর সুস্থ হয়ে তিনি সরাসরি থানার দ্বারস্থ হন। অভিযোগ জানান, বেশ কয়েকদিন ধরেই তাঁর উপর অত্যাচার করছিল শ্বশুরবাড়ির লোকজন। যদিও অভিযুক্তরা সকলেই পলাতক। তবে সন্তান নষ্টের জন্য চায়না বিবি স্বামীকেই দায়ী করছেন। পুলিশের কাছে তাঁর আবেদন, স্বামীর যেন কঠোরতর শাস্তি হয়।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.