ছবি: প্রতীকী।
দিব্যেন্দু মজুমদার, হুগলি: সংসারে লক্ষ্মী আনবেন বলে গত নভেম্বর মাসে বিয়ে করেছিলেন চুঁচুড়ার (Chunchura) বাসিন্দা পেশায় পুরোহিত এক ব্যক্তি। প্রথম কিছুদিন সুখেই কেটেছিল। কিন্তু স্ত্রীর হাজারও চাহিদা মেটাতে না পারায় শুরু হয় অশান্তি। অভিযোগ, নিয়মিত স্ত্রীর মানসিক নির্যাতনের শিকার হতেন এলাকায় পুরোহিত হিসেবে পরিচিত কমলকান্তি অধিকারী (Kamal Kanti Adhikary)। শেষ পর্যন্ত স্ত্রীর নির্যাতনের হাত থেকে বাঁচতে বুধবার রাতে পাড়ার একটি নির্মীয়মান আবাসনের দোতলা থেকে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করলেন তিনি। বর্তমানে চুঁচুড়া ইমামবাড়া হাসপাতালে (Chuchura Imambara Hospital) মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন কমলকান্তি। কমলকান্তির দাদা পিন্টু অধিকারী চুঁচুড়া থানায় (Chunchura Police Station) একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন।
আহতের পরিবারের অভিযোগ, বিয়ের পর প্রথম কয়েকটা দিন সব ঠিক ছিল। কিন্তু এরপর দেখা যায় সাধারণ পরিবারে ভাত-ডাল-তরকারি কমলকান্তি স্ত্রীর মুখে রুচছে না। নিত্য ইলিশ মাছ, খাসির মাংস ইত্যাদি খাবারের চাহিদা পূরণ না হলে স্বামীর উপর নির্যাতন চালাতেন তিনি। স্ত্রীর নির্যাতন দিন দিন বাড়তে থাকায় কিছুদিন আগে কমলকান্তির পরিবার চুঁচুড়া থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। বর্তমানে আদালতে সেই মামলা বিচারাধীন।
পুরোহিতের পরিবারের দাবি, বিগত ১০ মাসে বার চারেক বাপের বাড়ি চলে যান তরুণী। অভিযোগ, গতকাল রাতে কমলকান্তি পাড়ার একটি নির্মীয়মান আবাসনের সামনে পুজোর বিষয়ে কয়েকজন ব্যক্তির সঙ্গে কথা বলছিলেন। সেখানে হঠাৎই কমলকান্তির স্ত্রী তাঁর বাপের বাড়ি লোকজন নিয়ে হাজির হয়। স্বামীর উপর চড়াও হয় সে, মারধর শুরু করে।
অভিযোগ, শ্বশুরবাড়ির লোকেদের মারধরের হাত থেকে বাঁচতে কমলকান্তি নির্মীয়মান আবাসনের দোতলায় উঠে যান। এবং ছাদ থেকে ঝাঁপ দেন। গুরুতর আহত অবস্থায় স্থানীয়রা তাঁকে উদ্ধার করে চুঁচুড়া ইমামবাড়া হাসপাতালে ভরতি করে। আহতের পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে চুঁচুড়া থানার পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। এই ঘটনায় এখনও অবধি কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.