সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, দুর্গাপুর: পরকীয়ায় বাধা দেওয়ায় স্ত্রী ও সন্তানকে খুনের চেষ্টার অভিযোগে পুলিশের জালে বিজেপি নেতা। সোমবার রাতেই অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। জানা গিয়েছে, একাধিক মহিলার সঙ্গে বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক ছিল ওই বিজেপি নেতার।
২০১৪ সালে বিজেপির শিক্ষক সেলের নেতা চিরঞ্জিৎ ধীবরের সঙ্গে বিয়ে হয় সন্ধ্যা সাহার। আড়াই বছরের একটি পুত্র সন্তানও রয়েছে ওই দম্পতির। জানা গিয়েছে, বেশ কিছুদিন ধরেই একাধিক মহিলার সঙ্গে বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছিলেন চিরঞ্জিৎ। সন্ধ্যাদেবী বিষয়টি বুঝতে পারার পরই অশান্তি শুরু হয় অশান্তি। সন্ধ্যাদেবীর অভিযোগ, অশান্তি হলেই তাঁকে ও তাঁর সন্তানকে মারধর করতেন অভিযুক্ত চিরঞ্জিৎ। এমনকী তিনি সন্তানকেও খেতে দিতেন না বলে অভিযোগ। দিন সাতেক আগে স্বামীর মোবাইল ফোনটি হাতে পান সন্ধ্যা। চিরঞ্জিতের মোবাইল ঘাটতেই একাধিক মহিলার সঙ্গে আপত্তিকর চ্যাট দেখতে পান তাঁর স্ত্রী। সেই সব চ্যাটের স্ক্রিনশট নিয়ে তা বিজেপি-সহ একাধিক গ্রুপে ছড়িয়ে দেন সন্ধ্যাদেবী।
সেই দিনের ঘটনার পর থেকেই আর বাড়ি ফেরেননি অভিযু্ক্ত বিজেপি নেতা। তবে মাঝে মধ্যেই তিনি স্ত্রীকে ফোন করে খুনের হুমকি দিতেন বলে অভিযোগ। ১৫ আগষ্ট গোটা বিষয়টি জানিয়ে থানায় অভিযোগও দায়ের করেন সন্ধ্যাদেবী। এরপর সোমবার রাতে হঠাৎই বাড়ি ফেরেন চিরঞ্জিৎ। বাড়ি ফিরেই স্ত্রীকে মারধরের পর তাঁর গায়ে কেরোসিন ঢেলে স্ত্রীর গায়ে আগুন লাগিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেন বলে অভিযোগ। এমনকী, কুয়োয় ফেলে দেওয়ারও চেষ্টা করেন সন্তানকে। অভিযুক্তের স্ত্রী মহিলা ও সন্তানের চিৎকারে মুহূর্তে সেখানে স্থানীয়রা জড়ো হয়ে অভিযুক্তকে ধরে ফেলেন। এরপর ফরিদপুর ফাঁড়ির পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে অভিযুক্তকে আটক করে। পরে গ্রেপ্তার করা হয় তাঁকে। যদিও নিজের বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছেন অভিযুক্ত বিজেপি নেতা চিরঞ্জিৎ ধীবর।
ছবি: উদয়ন গুহরায়
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.