প্রতীকী ছবি।
নন্দন দত্ত, সিউড়ি: সাতসকালে স্বামী-স্ত্রীর দেহ উদ্ধার ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়াল বীরভূমের মহম্মদবাজার এলাকার কুমোরপুর গ্রামে। প্রাথমিক অনুমান, স্ত্রীকে শ্বাসরোধ করে খুনের পর গলায় দড়ি দিয়ে আত্মঘাতী হয়েছেন স্বামী। তবে কী কারণে এমন ঘটনা, তা নিয়ে ধন্দে পরিবার। পুলিশ খবর পেয়ে দেহ দুটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে। পরিবারের সদস্যদের জিজ্ঞাসবাদ করে কিনারা করার চেষ্টায় তদন্তকারীরা।
জানা গিয়েছে, মৃত সাতাশ বছরের তিথি অঙ্কুর ও বছর চল্লিশের সঞ্জীব অঙ্কুর। কুমোরপুর গ্রামের বাসিন্দা তিথির দ্বিতীয়বার বিয়ে হয় চন্দ্রুপুর থানা এলাকার তাঁতিপাড়ার বাসিন্দা সঞ্জীবের সঙ্গে। তিথির প্রথমপক্ষে দুই সন্তান রয়েছে। আর দ্বিতীয় পক্ষে তিথি-সঞ্জীবের আড়াই বছরের এক মেয়ে আছে। তিথি বাবা জানিয়েছেন, রবিবার মেয়ে-জামাই, নাতি-নাতনিদের নিয়ে বাড়ি ফিরেছিল। তাই তাঁদের জন্য আলাদা ঘরের ব্যবস্থা করে দিয়েছিলেন তিনি। তিথি ও সঞ্জীবের পাশের ঘরে ছিল তিন ছেলেমেয়ে। মাঝরাতে আড়াই বছরের মেয়েটি কেঁদে ওঠে। তাকে পাশের ঘরে মায়ের কাছে দিতে গিয়েছিল ছেলেরা। তখনই রোমহর্ষক দৃশ্য তাদের চোখে পড়ে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানাচ্ছেন, ছোট বোনকে পাশের ঘরে দিতে গেলে বাকি দুই ছেলেমেয়ে দেখে, মেঝেতে পড়ে আছে মা, আর বাবা গলায় দড়ি দিয়ে ঝুলছে! তা দেখে তাজ্জব হয়ে যায় তারা। মৃত তিথির বাবা বামদেব জানান, মেয়ে-জামাইয়ের মধ্যে মাঝেমাঝে ঝগড়া হতো। তবে তা যে এমন একটা চরম পরিণতি হবে, ভাবতেও পারেনি কেউ। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, স্ত্রীকে শ্বাসরোধ করে খুনের পর সঞ্জীব আত্মঘাতী হয়েছেন। দেহ দুটি ময়নাতদন্তে পাঠিয়ে সঠিক কারণ জানার চেষ্টা করছে পুলিশ।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.