ছবি: সুশান্ত পাল।
নন্দন দত্ত, সিউড়ি: স্ত্রীকে খুন করে বস্তায় ভরে পাচারের চেষ্টা। তবে তার আগেই হাজির পুলিশ। বীরভূমের মল্লারপুর থানার সোঁজ গ্রামের ঘটনা। মল্লারপুর থানার পুলিশ অভিযুক্তের বাড়ি লাগোয়া পুকুর পাড় থেকে চালের বস্তাবন্দি অবস্থায় স্ত্রীর দেহ উদ্ধার করে। এখনও ফেরার অভিযুক্ত স্বামী। মহিলার শাশুড়িকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। দেহটি উদ্ধার করে রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজে ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে।
পাঁচ বছর আগে মেদিনীপুরে কাজে গিয়ে স্থানীয় তরুণী প্রিয়ার সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে সোঁজ গ্রামের সুফল মণ্ডল। বিয়েও হয়। গ্রামবাসীদের দাবি, তাদের মধ্যে প্রায়শই অশান্তি লেগে থাকত। বুধবার সন্ধেয় অশান্তি চরমে পৌঁছয়। অভিযোগ, স্ত্রীকে মাথায় আঘাত করে সুফল। মৃত্যুর পর দেহ চালের বস্তায় ঢুকিয়ে পুকুর পাড়ে পাচারের জন্য রেখে দেয়। প্রমাণ লোপাটে রাতে সেই বস্তাটি অন্যত্র পাচারের উদ্দেশ্য ছিল।
কিন্তু খুনের পরে তার ছোট মেয়ের চিৎকার শুনে গ্রামবাসীরা ছুটে আসে। প্রত্যক্ষদর্শী গ্রামবাসী অর্ঘ্য ভুঁইমালি জানান, “আমরা যখন আসি তখন সুফল ঘরের বাইরে হন্তদন্ত হয়ে ছোটাছুটি করছিল। বলল আমাকে বউ লাঠি দিয়ে আঘাত করেছে। তাই আমিও তাকে মেরেছি। তারপর গলায় দড়ি দিয়ে স্ত্রী আত্মঘাতী হয়েছে।” কথা পুরোপুরি শেষ হওয়ার আগেই অন্ধকারে সে ছুটে পালিয়ে যায়। দাদা দোলগোবিন্দ মণ্ডলকে সুফলই তার স্ত্রীর মৃত্যুর খবর দিয়ে পালিয়ে যায়।
খবর পেয়ে রামপুরহাট মহকুমা পুলিশ আধিকারিক ধীমান মিত্রের নেতৃত্বে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। বস্তা খুলে টিনের চালের বারান্দার সামনে দেহটি উদ্ধার করে। সেখানে চাপ চাপ রক্ত পড়েছিল। একটি হেলমেট পড়েছিল। প্রিয়ার মাথায় আঘাতের চিহ্নও রয়েছে। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, হেলমেট দিয়ে স্ত্রীর মাথায় আঘাত করে তাকে খুন করেছে সুফল। কিন্তু তাকে খুনের পরে দেহটি একার পক্ষে বস্তাবন্দি করা তার পক্ষে সম্ভব নয়। তাই কে তাকে সাহায্য করল, তার খোঁজ চালাচ্ছে পুলিশ। আপাতত সুফলের মা শোভারানি মণ্ডল গড়াইকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। সুফলকে খোঁজে তল্লাশি চলছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.