ধীমান রায়, কাটোয়া: গত দু’মাস ধরে সন্তানদের নিয়ে বাপের বাড়িতে ছিলেন স্ত্রী। বারংবার বলা সত্ত্বেও বাড়ি আসেননি। তাই স্ত্রী সন্তানদের আনতে নিজেই শ্বশুরবাড়িতে গিয়েছিলেন। শেষে পরিণতি হল ভয়ানক। দিন-দুপুরে শ্বশুরবাড়িতে পিটিয়ে খুন করা হল ২৭ বছরের এক যুবক মিরাজ শেখকে। রবিবার দুপুরে ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব বর্ধমানের কাটোয়া শহরে৷ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়েছে এলাকায়।
[ আরও পড়ুন: ‘বিষ ছড়িয়ে দেব কীট-পতঙ্গ আসবে না’, বিষ্ণুপুরের শক্ত জমিতে নয়া দাওয়াই অনুব্রতর ]
পুলিশ সূত্রে খবর, পেশায় ভ্যান চালক মিরাজের বাড়ি কাটোয়া পুরসভার ১৯ নম্বর ওয়ার্ডে। একই ওয়ার্ডে কিছুটা দূরে তাঁর শ্বশুরবাড়ি৷ সেখান থেকেই মিরাজের ক্ষতবিক্ষত দেহ উদ্ধার করেছে কাটোয়া থানার পুলিশ। কাটোয়া মহকুমার পুলিশ আধিকারিক ত্রিদিব সরকার জানান, ঘটনার পর থেকে ফেরার নিহতের স্ত্রী, শ্বশুর ও শাশুড়ি। তাদের সন্ধান চালছে। মৃতের পরিবার সূত্রে খবর, ন’বছর আগে মল্লিকপাড়ার আবু সিদ্দিকের ছোট মেয়ে আকুয়া বিবির সঙ্গে মিরাজের বিয়ে হয়। তাদের তিন মেয়ে রয়েছে। নিহতের মা লুৎফরন্নেসা বিবি বলেন, ‘‘আমার বউমা প্রায়ই বাপের বাড়িতে চলে যেত। ছেলেকে ঠিক পছন্দ করত না। বারবার তাকে বুঝিয়ে বাপের বাড়ি থেকে নিয়ে আসতে হত।”
[ আরও পড়ুন: ‘প্রতিটা ইলেকশনে নতুন অপারেশন করি’, ভোটের আগে হুঁশিয়ারি অর্জুনের ]
জানা গিয়েছে, দু’মাস আগে তিন মেয়েকে মল্লিকপাড়ায় বাপের বাড়িতে গিয়েছিল আকুয়া বিবি। ঘটনার ১৫ দিন আগেও মিরাজ তাঁর স্ত্রীকে আনতে গিয়েছিলেন। কিন্তু তখনও সে আসেনি৷ রবিবার আবারও মেয়েদের জন্য কিছু চকোলেট ও আইসক্রিম নিয়ে মিরাজ শ্বশুর বাড়ি থেকে স্ত্রীকে আনতে যায়। কিন্তু সেখানে স্ত্রী ও শ্বশুর-শাশুড়ির সঙ্গে তাঁর বচসা বাধে। এরপর অভিযুক্তরা তাঁকে মারধর করে। পিটিয়ে খুন করে৷ এবং রক্তাক্ত মৃতদেহ ফেলে চম্পট দেয়৷ ঘটনার খবর ছড়িয়ে পড়তেই ঘটনাস্থলে গিয়ে ব্যাপক বিক্ষোভ দেখান মৃতের পরিবারের সদস্যরা৷ ঘটনাস্থলে আসে বিশাল পুলিশ। পরিস্থিতি সামাল দেন তাঁরা।
ছবি: জয়ন্ত দাস।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.