সুরজিৎ দেব, ডায়মন্ড হারবার: মেলায় ফুচকা খেয়ে বিপত্তি। দক্ষিণ ২৪ পরগনার (South 24 Parganas) মন্দিরবাজার এলাকায় অসুস্থ হয়ে পড়লেন শতাধিক। যদিও বেশিরভাগ রোগীকেই প্রাথমিক চিকিৎসার পর ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। তবে হাসপাতালে এখনও চিকিৎসা চলছে ৬৬ জনের। চিকিৎসাধীন সকলের শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল বলে হাসপাতাল সূত্রে খবর। জানা গিয়েছে, ফুচকায় বিষক্রিয়ার জেরেই এই অসুস্থতা। ব্যাপক আতঙ্ক ছড়িয়েছে এলাকায়।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ৪ বৈশাখ, সোমবার রাতে মন্দিরবাজার (Mandirbazar) ব্লকের চাঁদপুর-চৈতন্যপুর পঞ্চায়েতের কাদিপুকুর গ্রামে মেলা উপলক্ষ্যে বসেছিল বিভিন্ন দোকান। ছিল ফুচকার দোকানও। মেলায় আসা মানুষজনের অনেকেই সেখানে ফুচকা (Fuchka)খান। মঙ্গলবার সকাল থেকেই তাঁদের অনেকে অসুস্থ হয়ে পড়তে থাকেন। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে অসুস্থদের সংখ্যাও ক্রমশ বাড়ে। স্থানীয় সরদানা ও চাঁদপুর এলাকার প্রায় ১৮০ জন বাসিন্দা জ্বর, পেটখারাপ ও বমি উপসর্গ নিয়ে বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে আসেন। অসুস্থদের অধিকাংশই শিশু ও মহিলা।
মন্দিরবাজারের বিএমওএইচ (BMOH) ডা: দেবব্রত মণ্ডল জানিয়েছেন, জ্বর, পেটখারাপ ও বমির মত একই উপসর্গ নিয়ে রোগীরা মঙ্গলবার সকাল থেকেই বিভিন্ন হাসপাতালে আসতে শুরু করেন। রাতে গ্রামে চিকিৎসা শিবিরও করা হয়। মোট ১৮০ জন বাসিন্দা অসুস্থ হয়ে পড়লেও বেশিরভাগ রোগীকে প্রাথমিক চিকিৎসার পর ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। বুধবার পর্যন্ত মন্দিরবাজার গ্রামীণ হাসপাতালে ৪৮ জন, মথুরাপুর গ্রামীণ হাসপাতালে তিনজন ও স্থানীয় একটি বেসরকারি হাসপাতালে ১৫ জন চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এমনকী চিকিৎসা চলছে ফুচকাওয়ালা, তাঁর স্ত্রী এবং মেয়েরও। তবে চিকিৎসাধীন সকলেরই শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল।
প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে, ফুচকার জল থেকেই বিষক্রিয়া (Poisonous) হয়েছে। ফুচকাওয়ালা ও তাঁর পরিবার সম্ভবত পরীক্ষা করার জন্যই ফুচকার জল খেয়েছিলেন বলে জানিয়েছেন বিএমওএইচ।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.