সুমিত বিশ্বাস, পুরুলিয়া: পাস্তা, মোমো, ফুচকা, লিটি, গাজরের হালুয়া, ভেজ মাঞ্চুরিয়ান, দই বড়া, ফ্রেঞ্চ ফ্রাই। নাম শুনলেই জিভে জল চলে আসে। সেই জিভে জল আসা সুস্বাদু পদগুলি ফুড ফেস্টিভ্যালে তুলে ধরে নজর কাড়ল পুরুলিয়ার তিন স্কুল। পুরুলিয়ার পুঞ্চা ব্লকের লাখরা উপেন্দ্রনাথ হাইস্কুলে (উচ্চমাধ্যমিক) পুরুলিয়া জেলা পরিষদের সহ সভাধিপতি তথা ওই স্কুলের পরিচালন সমিতির সম্পাদক সুজয় বন্দ্যোপাধ্যায় ওই পদগুলি কিনে চেখে দেখেন। তাঁর কথায়, “রাজ্যের উদ্যোগে স্টুডেন্ট উইক (২-৮ জানুয়ারি) -এ যেসব কর্মসূচি নেওয়া হয় তার মধ্যে সবচেয়ে আকর্ষণীয় এই ফুড ফেস্টিভ্যাল। পড়ুয়াদের সঙ্গে ওই ফুড ফেস্টিভ্যালে শামিল হতে পেরে ভীষণই ভালো লাগছে।”
মঙ্গলবার পুঞ্চা ব্লকের লাখরার ওই স্কুল ছাড়াও আড়শার নিউ ইন্ট্রিগেটেড গভর্নমেন্ট স্কুলে ওই খাদ্য মেলা হয়। যা নজর কাড়ে জেলায়। একদা মাওবাদী উপদ্রুত ওই প্রত্যন্ত এলাকার স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীরা যেভাবে ফুড ফেস্টিভ্যালে অংশ নেয় তাতে তারিফ করেছে শিক্ষা দপ্তর। ওই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খাদ্য মেলায় মোট ১৮ রকমের উপকরণ তৈরি করে। বিক্রিবাটাও হয় বেশ ভালো। এক কাপ চা, কফি বিক্রি হয়েছে ৫ টাকায়। এই শীতে স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীরা থেকে শিক্ষক-শিক্ষিকারা চা, কফিতে চুমুক দিয়ে পড়ুয়াদের উৎসাহ দেন। তবে সবচেয়ে ভালো বিক্রি হয় পালং শাকের কচুরি ও আলুর দম। পিছিয়ে ছিল না গাজরের হালুয়া, গুলাব জামুন। পড়ুয়ারা সবচেয়ে বেশি ভিড় করে পেয়ারা মাখা, ভেজ মোমো, ঝাল মুড়ি, আলুমাখা স্টলে। পেয়ারা মাখা স্টল দেওয়া দশম শ্রেণীর ছাত্রী শুভ্রা রেওয়ানি বলেন, “আমার স্টলে ছাত্র-ছাত্রীরা বেশি ভিড় জমায়। তবে শিক্ষকরাও খেয়েছেন।”
দশম শ্রেণির আরেক ছাত্রী শ্রেয়া মিত্র ৫ টাকা করে ভেজ মোমো বিক্রি করে। তার কথায়, “আমার স্টলেও ভালো ভিড় হয়। বিক্রিবাটা খুব একটা খারাপ নয়।” ওই স্কুলের রসায়ন শিক্ষক তথা এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সাংস্কৃতিক আহ্বায়ক কৌশিক বেরা বলেন, “আমাদের এই ফুড ফেস্টিভ্যালে মোট ১৮ রকমের পদ তৈরি করে ছাত্র-ছাত্রীরা। প্রত্যেকটা পদই সুস্বাদু হয়।” বুধবার মানবাজার স্বপন সুব্রত হাইস্কুলের পড়ুয়ারাও ইডলি, মিল্ক কেক, ছানার পায়েস তৈরি করে নজর কাড়ে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.