Advertisement
Advertisement
অস্ত্রভাণ্ডার

কাশীপুর গান সেলের কার্বাইন দুষ্কৃতীদের ডেরায়, অস্ত্রভাণ্ডারের রসদ ভাবনা বাড়াচ্ছে পুলিশের

অস্ত্র উদ্ধারের ঘটনায় গ্রেপ্তার দুই দুষ্কৃতী।

Huge cache of arms recovered in Hooghly's Chunchura
Published by: Sayani Sen
  • Posted:November 25, 2019 6:16 pm
  • Updated:November 25, 2019 6:16 pm  

দিব্যেন্দু মজুমদার, হুগলি: কাশীপুর গান অ্যান্ড সেল ফ্যাক্টরিতে তৈরি কার্বাইন ও পিস্তলও দুষ্কৃতীদের হাতে। চুঁচুড়ায় বিপুল পরিমাণ অস্ত্র উদ্ধারের পরও যা দেখে চিন্তায় ঘুম ছুটেছে পুলিশ কর্তাদের। অস্ত্র উদ্ধারের ঘটনায় গ্রেপ্তার দুই দুষ্কৃতী। ধৃতদের নাম প্রসেনজিৎ সাহা ওরফে টুকনা এবং ভাগ্না। দু’জনেই এলাকার কুখ্যাত দুষ্কৃতী টোটন বিশ্বাসের লোক বলে জানা গিয়েছে। চুঁচুড়ার রবীন্দ্রনগর এলাকা থেকে রবিবার তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

গত এক মাসে এই রবীন্দ্রনগর এলাকা থেকেই ৬৫০ রাউন্ড কার্তুজ উদ্ধার হয়েছে। আর রবিবার রাতে তিনটি কার্বাইন, ছ’টি মাস্কেট, তিনটি নাইন এমএম পিস্তল, তিনটি সেভেন এমএম পিস্তল, সাতটা ওয়ান সাটার এবং ১টি রিভলবার উদ্ধার করেছে পুলিশ। চন্দননগর পুলিশ কমিশনারেটের পুলিশ কমিশনার হুমায়ন কবীর জানান, মাসকয়েক আগে রবীন্দ্রনগর এলাকায় একটি বিয়েবাড়িতে দুষ্কৃতীদের ধরতে গিয়ে পালটা হামলার মুখে পড়েছিল পুলিশ। পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলিও ছোঁড়া হয়। সেই ঘটনার তদন্তে নেমে এখনও পর্যন্ত ২৬ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আরও চার দুষ্কৃতী বাইরে রয়েছে। তাদেরও দ্রুত ধরা হবে। দুষ্কৃতীরা গ্রেপ্তার হলেও পুলিশের মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে এলাকায় এই বিপুল পরিমাণ অস্ত্রের জোগান।

Advertisement

[আরও পড়ুন: সাবধান! অন্তর্বাসের ভাঁজেই বাসা বাঁধছে মারণ পতঙ্গ ‘ট্রম্বিকুলিড মাইট’]

জানা গিয়েছে, মূলত মুঙ্গের থেকে এই অস্ত্র ঢুকলেও দেখা গিয়েছে একটি কার্বাইন, একটি রিভলবার কাশীপুর গান অ্যান্ড সেল ফ্যাক্টরির। তাই এই অস্ত্র কীভাবে টোটনের দলের হাতে এল তাই ভাবাচ্ছে কমিশনারেটের কর্তাদের। সেক্ষেত্রে ওই কারখানার কর্মীরাই অস্ত্রপাচারে জড়িত বলে মনে করা হচ্ছে। তবে এই পাচারচক্রে আরও বড় মাথা রয়েছে বলেই মনে করছে পুলিশ। উল্লেখ্য, চুঁচুড়ার এই রবীন্দ্রনগর এলাকা বরাবরই দুষ্কৃতীদের স্বর্গরাজ্য হিসাবে পরিচিত। অনেক চেষ্টা করেও পুলিশ এই এলাকাকে নিয়ন্ত্রণে আনতে পারেনি। তার মধ্যে বেআইনি অস্ত্রের বাড়বাড়ন্ত আরও ভাবাচ্ছে পুলিশকে। তবে পুলিশের দাবি, মাসকয়েকের মধ্যেই যে পরিমাণ অস্ত্র উদ্ধার এবং দুষ্কৃতী গ্রেপ্তার হয়েছে, তাতে এলাকা অনেকটা শান্ত হবে। এলাকাবাসী অবশ্য তাতে আশ্বস্ত নন। তাঁদের দাবি, প্রায় রাতেই চুঁচুড়ার রবীন্দ্রনগর, ব্যান্ডেলের একাধিক এলাকায় দুষ্কৃতীদের দাপাদাপি লক্ষ্য করা যায়। ফলে রাত হলে আতঙ্কে ঘর থেকে বেরাতে ভয় পান তাঁরা।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement