Advertisement
Advertisement

Breaking News

উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা

গণটোকাটুকি হলে অনুমোদন বাতিল স্কুলের, উচ্চমাধ‌্যমিক শুরুর আগে সতর্ক সংসদ

পরীক্ষার্থীদের জন্য জেলায় জেলায় অতিরিক্ত বাস চালাবে পরিবহণ দপ্তর।

HS council takes measures to conduct the exam properly,without hazards
Published by: Sucheta Sengupta
  • Posted:March 12, 2020 9:00 am
  • Updated:March 12, 2020 10:09 am  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আজ থেকে শুরু উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা। তার আগে বেশ কয়েকটি সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিল উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ। নিছক ভর্ৎসনা বা সতর্ক করা নয়। উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা চলাকালীন কোনও পরীক্ষাকেন্দ্রে বড় ধরনের গন্ডগোল বা অনিয়ম হলে সংশ্লিষ্ট স্কুলের অনুমোদন বাতিল হতে পারে। পরীক্ষা শুরুর ২৪ ঘণ্টা আগে এই মর্মে হুঁশিয়ারি দিল উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ। পরীক্ষার্থীদের আগাম শুভেচ্ছা জানিয়ে এদিন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আশ্বাস দিয়েছেন, পরীক্ষার্থীদের যাতে কোনও অসুবিধা না হয়, তার জন্য সমস্ত ব্যবস্থা করা হবে। অবরোধ বা ওই জাতীয় অবাঞ্ছিত পরিস্থিতি যাতে দেখা না দেয়, প্রশাসন তা নিশ্চিত করবে।

বাংলা ও একাধিক প্রথম ভাষা দিয়ে বৃহস্পতিবার শুরু হচ্ছে উচ্চমাধ্যমিক। সদ্য শেষ হওয়া মাধ্যমিকে গণটোকাটুকি এবং হোয়াটস অ্যাপে প্রশ্ন বেরিয়ে যাওয়া আটকানো যায়নি। সেই পরিপ্রেক্ষিতে উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের সভাপতি মহুয়া দাস এদিন বলেন, “খবর পেয়েছি, হোয়াটসঅ্যাপে গ্রুপ তৈরি করে গোলমাল করার চেষ্টা হচ্ছে। কোনও গাফিলতি হলে স্কুলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। স্কুলের অনুমোদনও বাতিল হতে পারে।” পরীক্ষার্থীদের সাফল্য কামনা করে শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের মন্ত‌ব‌্য, “উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ যে নিয়মের কথা বলেছে, তা যেন ভাঙা না হয়। ” পরীক্ষার দিনগুলিতে কলকাতা-সহ প্রত্যেকটি জেলায় বাড়তি বাস চলবে পরিবহণ দপ্তরের তরফে। দপ্তরের প্রধান সচিব নারায়ণ স্বরূপ নিগম জানিয়েছেন, কলকাতা মেট্রো কর্তৃপক্ষের কাছে উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার দিনগুলিতে বাড়তি মেট্রো চালানোর আবেদন করা হয়েছে।

Advertisement

[আরও পড়ুন: ক্লাসরুমে সহপাঠীদের আবির মাখানোর জের, কলেজ ছাত্রীকে সপাটে চড় অধ্যক্ষার]

যে কোনও রকম কারচুপি এড়াতে প্রশ্নপত্রের প্যাকেটে এবারও বারকোড থাকছে। সকাল দশটা থেকে শুরু পরীক্ষা। এবছর উচ্চমাধ্যমিকে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ৭ লক্ষ ৯০ হাজার। গত বছরের তুলনায় পরীক্ষার্থীর সংখ্যা কমেছে ৫ হাজার। এই প্রথম ২৫০টি পরীক্ষাকেন্দ্রে থাকছে মেটাল ডিটেক্টর। এবারই প্রথম প্রত্যেক কেন্দ্রে শুধু মোবাইল ধরার জন্য একজন করে পরীক্ষক থাকবেন। পরীক্ষাকেন্দ্রে মিডিয়ার প্রবেশ নিষিদ্ধ। কোনও পরীক্ষার্থীর কাছে মোবাইল নেই, তা নিশ্চিত হওয়ার পরই প্রশ্নপত্র বিতরণ শুরু হবে। কারও কাছ থেকে টুকলি পাওয়া গেলে, তার খাতা বাতিল করা হবে। প্রয়োজনে বাতিল হতে পারে রেজিস্ট্রেশনও। এছাড়াও শিক্ষকদের উপর হামলা, পরীক্ষা কেন্দ্রে ভাঙচুরের অভিযোগ উঠলেও পরীক্ষার্থীকে RA ঘোষণা করা হবে। গোটা ঘটনায় স্কুলের গাফিলতি প্রমাণিত হলে বাতিল হতে পারে সেই স্কুলের অনুমোদনও।

[আরও পড়ুন: নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও মাইক বাজিয়ে মন্ত্রীর নাচ, রিপোর্ট তলব জেলাশাসকের]

মধ্যশিক্ষা পর্ষদের পথে হেঁটে উচ্চমাধ্যমিকের ক্ষেত্রেও স্পর্শকাতর জেলাগুলিতে পরীক্ষা শুরুর পর দু’ঘণ্টা ইন্টারনেট বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে। নির্বিঘ্নে পরীক্ষা পরিচালনা করতেই সংসদের এই সিদ্ধান্ত। মাধ্যমিকে প্রশ্নফাঁস রুখতে একাধিক পদক্ষেপ নিয়েছিল পর্ষদ। তা সত্ত্বেও পরীক্ষা শুরুর আধঘণ্টার মধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়ায় কয়েকদিন প্রশ্ন ভাইরাল হয়েছিল। পরীক্ষা শেষে আসলের সঙ্গে মিলেও গিয়েছিল সেটি। সেই ঘটনা থেকে শিক্ষা নিয়ে আরও কড়া হতে চায় সংসদ। মালদহ, উত্তর দিনাজপুর, বীরভূম, হাওড়া ও উত্তর ২৪ পরগনার ২৫০ টি কেন্দ্র ‘স্পর্শকাতর’ হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে। প্রবেশপথে তো বটেই, প্রয়োজনে পরীক্ষাকেন্দ্রের ভিতরেও মেটাল ডিটেক্টর থাকবে। কলকাতার বড়বাজার, গার্ডেনরিচ এবং কাশীপুরের পরীক্ষাকেন্দ্রগুলিও বাড়তি নজরদারির তালিকায় আছে। প্রয়োজনে এই এলাকাতেও পরীক্ষা চলাকালীন দু’ঘণ্টা ইন্টারনেট বন্ধ থাকতে পারে।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement