সুব্রত বিশ্বাস: শুরুতে বেশ জমিয়ে ব্যাটিং করছে বর্ষা। প্রায় রোজই দফায় দফায় রাজ্যজুড়ে চলছে বৃষ্টি। তার ফলে ইতিমধ্যেই বেশ কয়েকটি জায়গায় জল জমতেও শুরু করেছে। আর এই জমা জলেই জমা জলে জীবন অতিষ্ট বেলুড় ও লিলুয়াবাসীর। আর তার ফলে বাড়ছে মশা ও সাপের উপদ্রব। ডেঙ্গুর (Dengue) আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়লেও জল সরানোর কোনও প্রচেষ্টা প্রশাসনের নেই বলে অভিযোগ স্থানীয় বাসিন্দাদের।
লিলুয়ায় ওয়ার্কশপ, রেল আবাসনের সর্বত্র জলে ডুবে রয়েছে। স্যানিটারি ও আইওডব্লুর উদাসীনতায় এইসব চত্বর জলের তলায় বলে রেলকর্মীদের অভিযোগ। লিলুয়া স্টেশন থেকে ওয়ার্কশপ যাওয়ার রাস্তাটি জলের তলায়। স্থানীয়দের অভিযোগ, সুযোগ বুঝে রিকশা চালকরা মোটা ভাড়া আদায় করছে। পানীয় জল সরবরাহেও সমস্যা দেখা দিয়েছে। পাম্প বিভাগের এক ইনচার্জের করোনার খবরে চাঞ্চল্য ছড়ায়। তার ফলে কাজকর্ম শিকেয় উঠেছে। কর্মীদের অভিযোগ, কোনও রকম স্বাস্থ্যবিধির বালাই নেই, সবাই মেশিন চালাচ্ছে। ফলে কে আক্রান্ত, কোথা থেকে করোনা ছড়াচ্ছে তাও বোঝা যাচ্ছে না। আতঙ্কে মেশিন ছুঁতেও চাইছেন না অনেকেই।
বেলুড়ের ঘোষপাড়া ও সাঁপুইপাড়া অঞ্চলের বিস্তীর্ণ অঞ্চলও জলের তলায়। অরবিন্দ নগর, শান্তিনগর, স্টেশন চত্বর, চাঁদমারি ঘোষপাড়া রাস্তা জলমগ্ন। স্থানীয় পাঞ্চায়েতের উপপ্রধান আশীষ ঘোষ বলেন, “হাওড়া পুর এলাকার জল এসে পঞ্চায়েত এলাকায় ঢুকছে। স্টেশন লাগোয়া এলাকায় দু’টি পাম্প লাগানো হয়েছে। ফলে খুব তাড়াতাড়ি সমস্যা মিটে যাবে বলেই আশা।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.