ফাইল ছবি
অরিজিৎ গুপ্ত, হাওড়া: স্থানীয় এক যুবকের সঙ্গে বিবাহ-বর্হিভূত সম্পর্ক। প্রেমিকের সঙ্গে পালিয়ে গিয়েছিলেন এক গৃহবধূ। ফিরতে আসতেই ওই যুবকের উপর চড়াও হন বাপের বাড়ির লোকেরা। প্রেমিককে বাঁচাতে যখন আরজি জানাচ্ছেন ওই গৃহবধূ, তখন গুলি চালালেন তাঁর ভাই। কানে গুলি লেগেছে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় ওই গৃহবধূ ভরতি হাসপাতালে। মূল অভিযুক্ত ও আক্রান্তের স্বামী পলাতক। এক ভাইকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ। অনার কিলিংয়ের চেষ্টা হাওড়ার পিলখানায়।
[ শ্বশুরের কুপ্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় গৃহবধূ খুন, চাঞ্চল্য সুভাষগ্রামে]
আক্রান্ত ওই গৃহবধূর নাম নূরজাহান। তাঁর বাপের বাড়ি হাওড়ায় পিলখানার মাদারতলায়। স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, বছর দশেক আগে হাওড়ারই এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে বিয়ে হয় নুরজাহানের। কিন্তু, বিয়ের পর ইসরাফিল নামে এক যুবকের সঙ্গে বিবাহ-বর্হিভূত সম্পর্কে জড়ান তিনি। মাস দেড়েক আগে প্রেমিকের সঙ্গে পালিয়ে গিয়েছিলেন ওই গৃহবধূ। এই নিয়ে পরিবারে অশান্তি চলছিল। বুধবার মধ্য গুলির শব্দে ঘুম ভাঙে পিলখানার মাদারতলা এলাকা বাসিন্দাদের। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, বাইরে বেরিয়ে তাঁরা দেখেন, রাস্তায় রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে নুরজাহান। কিছু দুরে যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছেন তাঁর প্রেমিক ইসরাফিলও। আর বন্দুক হাতে তখনও রাগে ফুঁসছে নূরজাহানের ভাই শেখ সেলিম। শেষপর্যন্ত, পরিস্থিতি বেগতিক বুঝে পালিয়ে যায় সে। নূরজাহানকে উদ্ধার করে হাওড়া স্টেট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যান স্থানীয় বাসিন্দারা। তাঁর কানে গুলি লেগেছে। শারীরিক অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গিয়েছে।
কিন্তু, কীভাবে ঘটল এই এই ঘটনা? স্থানীয় বাসিন্দাদের বক্তব্য, প্রায় মাস দেড়েক খোঁজ ছিল না নূরজাহান ও ইসরাফিলের। বুধবার রাতে গ্রামের বাড়িতে ফেরেন তাঁরা। খবর পেয়ে রীতিমতো সদলবদলে ইসরাফিলের উপর চড়াও হন নুরজাহানে ভাইয়েরা। চলে বেধড়ক মারধর। ঘটনার সময়ে সেখানে ছিলেন ওই গৃহবধূর স্বামীও তাঁর আরও এক ভাই। প্রেমিককে বাঁচানোর চেষ্টা করেছিলেন নূরজাহান। তাঁকে ছেড়ে দেওয়ার বারবার ভাইদের কাছে অনুরোধ করছিলেন তিনি। রাগের মাথায় দিদিকে লক্ষ্য করে গুলি চালিয়ে দেয় শেখ মহম্মদ। স্বামী পালিয়ে গেলেও নুরজাহানের এক ভাইকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করছে হাওড়ার গোলাবাড়ি থানার পুলিশ।
[৪ ঘণ্টা প্ল্যাটফর্মেই পড়ে রক্তাক্ত দেহ, দেরিতে ঘুম ভাঙল রেল পুলিশের]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.