ছবি: প্রতীকী
স্থানীয় প্রোমোটার মহেশকুমার সুরেখার অভিযোগ, গত ২৭ আগস্ট লকডাউনের দিন ওই তৃণমূল নেতা তাঁকে ফোন করে হুমকি দেন। প্রোমোটারকে ফোন করে জানতে চান তাঁর অনুমতি ছাড়া বালির নিমতলায় কেন আবাসন নির্মাণ করা হচ্ছে। অনুমতি না নিয়ে আবাসন তৈরির কাজ করার জন্য টাকাও চান তিনি। কিছু বুঝে উঠতে না পেরে ওই প্রোমোটার ফোনের ওপারের ব্যক্তির পরিচয় জানতে চান। তখনই নিজেকে কিছু শীর্ষস্থানীয় তৃণমূল নেতার ঘনিষ্ঠ বলে দাবি করেন বিশ্বজয়। এমনকী, যেখানে নির্মাণকাজ হচ্ছে সেখানে গিয়ে ছবি তোলেন। প্রোমোটারের ঘনিষ্ঠ লোকজনকে মারধর করার অভিযোগও ওঠে তাঁর বিরুদ্ধে।
প্রোমোটারের ঘনিষ্ঠদের কাছ থেকে কিছু পরিমাণ টাকাও নেওয়া হয় বলে অভিযোগ। এরপরই শনিবার সকালে বালি থানায় বিশ্বজয়ের বিরুদ্ধে তোলাবাজির অভিযোগ দায়ের করেন প্রোমোটার। তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা যাবতীয় অভিযোগ অবশ্য উড়িয়ে দিয়েছেন বিশ্বজয়। তিনি বলেন, “দীর্ঘদিন ধরেই এলাকায় তৃণমূল করি। বেআইনিভাবে প্রোমোটিং করার প্রতিবাদ করেছিলাম। তাই আমাকে ফাঁসানো হল।”
হাওড়া জেলা তৃণমূলের চেয়ারম্যান অরূপ রায় বলেন, “ওই নামে বালিতে কোনও নেতা নেই। কেউ তৃণমূলের নেতাদের কাছে যেতেই পারে। তার মানেই সে নেতা নয়। দল এই ধরনের অন্যায়কে বরদাস্ত করে না। পুলিশ ব্যবস্থা নিক।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.