সন্দীপ মজুমদার,উলুবেড়িয়া: অভিযুক্তকে ধরতে গিয়ে আক্রান্ত পুলিশ। পুলিশকর্মীদের বাঁশ, লাঠি দিয়ে পিটিয়ে অভিযুক্তকে ছিনিয়ে নিয়ে গেল গ্রামবাসীরা। অভিযুক্ত ব্যক্তি এলাকায় বিজেপি কর্মী হিসেবে পরিচিত। ঘটনার পর, সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন তৃণমূল ও বিজেপি কর্মীরা। ঘটনাস্থল হাওড়ার আমতার সাহাপুর গ্রাম। আতঙ্কে বাড়ি ছেড়েছেন গ্রামের পুরুষরা। এলাকায় বসানো হয়েছে পুলিশ পিকেট। টহল দিচ্ছে রাফ। পুলিশকে মারধর ও সংঘর্ষের ঘটনায় ৬ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
[এখনও অধরা বাঘ, নতুন করে আতঙ্ক ছড়াল পশ্চিম মেদিনীপুরের ধেড়ুয়ায়]
ঘটনার সূত্রপাত সপ্তাহখানেক আগে। গ্রাম্য বিবাদকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়িয়েছিল আমতার সাহাপুরে। স্থানীয় এক দম্পতিকে মারধরের অভিযোগও উঠে। ঘটনায় প্রদীপ ঘাঁটা নামে গ্রামেরই এক যুবকের বিরুদ্ধে আমতা থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়। প্রদীপ আবার এলাকায় বিজেপি কর্মী বলে পরিচিত। গণ্ডগোলের পর থেকে পলাতক ছিলেন তিনি। রবিবার রাতে সাহাপুরে নিজের বাড়িতে ফেরেন প্রদীপ। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে রাতেই গ্রামে হানা দেয় পুলিশ। অভিযুক্ত ধরাও পড়ে যায়। কিন্তু, ওই যুবককে নিয়ে থানায় আসার পথে, পুলিশকে ঘিরে ধরে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন গ্রামবাসীরা। অভিযোগ, পুলিশকর্মীদের বাঁশ, লাঠি দিয়ে বেধড়ক মারধর করা হয়। এরপর প্রদীপ ঘাঁটাকে ছিনিয়ে নিয়ে চলে যান গ্রামবাসী। তখনকার মতো পুলিশও এলাকা ছেড়ে চলে যায়। গ্রামবাসীদের মারে অল্পবিস্তর আহত হন বেশ কয়েকজন পুলিশকর্মী। আমতা হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসার পর আহতদের ছেড়ে দেওয়া হয়। এদিকে, পুলিশ চলে যাওয়ার পর, সাহাপুরে স্থানীয় তৃণমূল ও বিজেপি কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। কার্যত রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় গোটা এলাকা। ৫টি বাড়ি, ২টি দোকান ও ২টি বাইকে ভাঙচুর চলে বলেও অভিযোগ। খবর পেয়ে সোমবার সকালে ফের সাহাপুর গ্রামে যান বিশাল পুলিশবাহিনী। পুলিশকে মারধর ও সংঘর্ষের ঘটনায় ৬ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। পুলিশি ধরপাকড়ের পর আতঙ্কে গ্রাম ছেড়ে পালিয়েছেন পুরুষরা। এলাকায় পরিস্থিতি রীতিমতো থমথমে। অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে বসানো হয়েছে পুলিশ পিকেট। টহল দিচ্ছে ব়্যাফ।
[ফোর জি-র যুগেও মোবাইলহীন গোটা গ্রাম! এখনও বার্তা দিতে হয় সশরীরে]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.