সুব্রত বিশ্বাস: খড়গপুর হয়ে নয়, এবার বাঁকুড়া-মশাগ্রাম হয়ে সরাসরি হাওড়া আসবে ইন্টারসিটি এক্সপ্রেস। ফলে সাড়ে চার ঘণ্টার যাত্রা পথের সময় এক ঘণ্টারও বেশি সময় কমে এসে সাড়ে তিন ঘণ্টা হবে। রেলের এই উদ্যোগ পর্যটকদের জন্য সুখবর বলেই মনে করা হচ্ছে।
চলতি বছরের মধ্যেই এই ট্রেন পরিষেবা শুরু করবে বলে বার্তা দিয়েছে পূর্ব রেল। কয়েকমাস আগে প্রাক্তন সাংসদ ও এক সময়ের রেলের স্ট্যান্ডিং কমিটির চেয়ারম্যান বাসুদেব আচার্য পূর্ব রেলের জিএম অরুণ অরোরার কাছে মাত্র একটি ট্রেন বাঁকুড়া থেকে হাওড়া (ভায়া মশাগ্রাম) চালানোর দাবি করেছিলেন। শুক্রবার তিনি বলেন, “জিএম একটি ট্রেনে চালানোর আশ্বাস দিয়ে চিঠি দিয়েছেন। দক্ষিণ দামোদর তথা বাঁকুড়ার বিস্তীর্ণ এলাকার মানুষেরা এই পরিষেবার ফলে ব্যাপক উপকৃত হবে। বিশেষত পাত্রসায়র, সোনামুখী ও ইন্দাসের মানুষজন সরাসরি কলকাতায় আসার সুযোগ পাবে। এই সব এলাকার মানুষজনকে কলকাতা আসতে বাঁকুড়া না হলে দূর্গাপুর এসে তারপর ট্রেন ধরতে হয়।”
পূর্ব ও দক্ষিণ পূর্ব রেলের সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রাক্তন রেলের স্ট্যান্ডিং কমিটিক চেয়ারম্যানের আবেদনের পর রেল তৎপর হয়। দুই রেলের অপারেশন বিভাগ বিষয়টি খতিয়ে দেখা শুরু করে। বাঁকুড়া থেকে মশাগ্রাম হয়ে হাওড়ার লাইন থাকলেও রায়নগর থেকে মশাগ্রামের লাইনের গ্রেডিয়েন্ট খানিকটা নিচু। যদিও কয়েক মাসের মধ্যে তা উঁচু করাতে কোনও সমস্যা হবে না। বাসুদেব আচার্য জানান, জিএম স্পষ্টভাবে জানিয়েছেন, একটি ট্রেন চললে গ্রেডিয়েন্ট হাই করা সমস্যার হবে না। তবে একাধিক ট্রেন চালাতে গেলে নতুন কাজের অনুমোদন নিতে হবে।
বাসুদেববাবুর কথায় একটি ট্রেনই দীর্ঘ যুগের সমস্যার সমাধান করতে পারবে। তাই একটিই স্থায়ী দাবি দেওয়া হয়েছিল। তার আশ্বাস মিলেছে। যা এবছরই কার্যকর হয়ে যাবে। আগামীতে দক্ষিণ দামোদর তথা বাঁকুড়ার মানুষদের জন্য এর থেকে খুশির খবর আর হতে পারে না। খুব শীঘ্রই বাঁকুড়া থেকে দক্ষিণ দামোদরের মানুষেরা সহজে কলকাতা যাতায়াত করতে পারবে বলে বাসিন্দাদের মত। এখন একটি মাত্র ট্রেন চলবে হাওড়া পরবর্তী ক্ষেত্রে আরও ট্রেন বাড়ানো হবে বলে জানানো হয়েছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.