সৌরভ মাজি, বর্ধমান: রাজু ঝা (Raju Jha) হত্যাকাণ্ডে ক্রমশ ঘনীভূত হচ্ছে রহস্য। পুলিশের কাছে গাড়ির চালক লিখিতভাবে জানালেন, গুলিকাণ্ডের সময় একই গাড়িতে ছিলেন আবদুল লতিফ। শোনা যাচ্ছে হাসপাতালেও গিয়েছিলেন তিনি। তারপর উধাও হয়ে যান লতিফ। এদিকে গাড়িতে থাকা ব্রতীনের দাবি, আবদুল লতিফকে চিনতেনই না তিনি।
বিষয়টা ঠিক কী? শক্তিগড়ে ভয়ংকর হত্যাকাণ্ডের সময় মৃত রাজু ঝার গাড়ির চালকের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, ঘটনার দিন সকাল ৮ টায় মালিক আবদুল লতিফের বাড়ি যান তাঁর গাড়ির চালক নুর হোসেন। দুবরাজপুরের বাসিন্দা তিনি। দুপুর দেড়টায় আবদুল লতিফকে গাড়িতে নিয়ে বেরিয়ে যান নুর। পথে গাড়িতে ওঠেন ব্রতীন মুখোপাধ্যায়। তিনি রাজুর ঘনিষ্ঠ হিসেবেই পরিচিত। এরপর দুজনকে নিয়ে নুর চলে যান দুর্গাপুরে, রাজুর হোটেলে। সেখান থেকে ঠিক সন্ধেয় ৬ টা বেজে ১০ মিনিটে রাজু, ব্রতীন ও লতিফকে গাড়িতে নিয়ে বের হন চালক। ৭ টা বেজে ৩৫ মিনিটে শক্তিগড়ে পৌঁছন তাঁরা। প্রথমে গাড়ি থামিয়ে রাজু বাদে সকলে গাড়ি থেকে নামেন। তারা উঠেও যান গাড়িতে।
নুরের বয়ান অনুযায়ী, এরপর ব্রতীন তাঁকে রজনীগন্ধা কিনে আনতে বলেন। সেই কারণে গাড়ি দাঁড় করিয়ে নামেন তিনি। ফেরার সময় দেখেন, গাড়ি লক্ষ্য করে চলছে এলোপাথাড়ি গুলি। এরপরই এগিয়ে গিয়ে দেখেন, রক্তে ভেসে যাচ্ছেন রাজু। হাতে গুলি লাগে ব্রতীনেরও।
অর্থাৎ নুরের দাবি অনুযায়ী গুলি চলার সময় গাড়িতেই ছিলেন আবদুল লতিফ। কিন্তু নুর ফিরে এসে আর তাকে দেখতে পাননি। তাহলে কোথায় গেলেন আবদুল? সূত্রের খবর, রাজুদের গাড়ির পিছনেই ছিল লতিফের বাউন্সারদের গাড়ি। গুলি চলার সঙ্গে সঙ্গেই নাকি বাউন্সারদের গাড়িতে উঠে পড়েন লতিফ। তবে সেই সময়ই চম্পট দেননি তিনি। সিসিটিভি অনুযায়ী, অনাময় হাসপাতালেও দেখা গিয়েছিল লতিফকে। তারপর উধাও হয়ে যান। তবে এখন তিনি কোথায় তা সকলেরই অজানা। এদিকে ব্রতীনের দাবি, তিনি আবদুল লতিফকে চিনতেন না। তবে রাজুর সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক ছিল দাদা-ভাইয়ের মতো। শুটারদের মধ্যে ২ জনকে দেখতে পেয়েছিলেন বলে দাবি করেছেন ব্রতীন।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.