রূপায়ণ গঙ্গোপাধ্যায় ও ব্রতদীপ ভট্টচার্য: অযোধ্যায় রাম মন্দিরের (Ram Temple) ভূমিপুজো, নতুন ইতিহাসের সূচনা। এমন গুরুত্বপূর্ণ পর্ব মহাসমারোহে উদযাপনে বাদ সেধেছে সাম্প্রতিক করোনা আবহ। অযোধ্যায় বেশি ভক্তসমাগমে জারি নিষেধাজ্ঞা। তাই যে যার বাড়িতে বসে আজকের ঐতিহাসিক দিনে রামচন্দ্রকে স্মরণ করলেন বঙ্গ বিজেপির নেতারা। ভূমিপুজোর তিথিতেই পুজোপাঠ, যজ্ঞ করলেন দিলীপ ঘোষ, মুকুল রায়, অর্জুন সিংরা।
বুধবার সকালে নিউটাউনে নিজের বাড়ির শিবমন্দিরে পুরোজ আয়োজন করেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)। নিজে শঙ্খ বাজান, হয় যজ্ঞও। পুজোর পর তাঁর বক্তব্য, ”এই দিনটাকে স্মরণে রাখার জন্য উদযাপনের আয়োজন করা হয়েছে। লকডাউনের নিয়ম মেনেই তা হচ্ছে। তবে বিভিন্ন জায়গায় পুলিশ অযথা বিজেপি কর্মীদের মন্দির থেকে আটক করেছে। যা কাম্য নয়। কারও আবেগকে আটকানোর কথা নয় সরকারের। এর পরিণাম হবেই। এটা কোনও রাজনৈতিক অনুষ্ঠান নয়, মিছিল নেই, মন্দির পুজো দেওয়া হয়েছে সামাজিক দূরত্ব মেনে। তাতেও পুলিশ বাধা দিলে কোনও উদ্দেশ্য আছে বুঝতে হবে। সরকার রাম, গেরুয়া – এসবে এত ভয় পায় কেন?”
উত্তর কলকাতায় নিজের বাড়িতে পুজো দিয়ে বিজেপির কেন্দ্রীয় সম্পাদক রাহুল সিনহা কার্যত চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিলেন সরকারকে। বললেন, ”পশ্চিমবঙ্গে রাম রাজত্ব আসবেই। আর ৮ মাস পর নির্বাচনের ফলাফলে। এখন রাবণরাজ চলছে। ” এছাড়া মুকুল রায়ও বীজপুরে নিজের বাড়িতে শাঁখ বাজিয়ে সংক্ষিপ্ত আকারে পুজোর আয়োজন করেন। বারাকপুরের বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিংকে (Arjun Sing) অবশ্য দেখা গেল বাড়ির সামনের একটি মন্দিরে পুজো দিতে। জগদ্দলের মেঘনা মোড়ে শীতলা মন্দিরে যজ্ঞও করেন তিনি। তাঁর মন্তব্য, ”রামভক্তদের ভয় পেয়েই আজ রাজ্যে সম্পূর্ণ লকডাউন ঘোষণা করেছেন। আজ তো সারা বাংলায় মন্দিরে মন্দিরে পুজো হচ্ছে। কাউকে কি উনি আটকাতে পারছেন? যাঁরাই রাম মন্দিরের বিরোধিতা করেছিল, তাঁদের কাউকেই আজ আর দেখা যাচ্ছে না। ”
লকডাউনের মাঝেও রাজ্যের নানা প্রান্তে এদিন বিজেপি কর্মী, সমর্থকরা পুজো দিয়েছেন মন্দিরে মন্দিরে। পাড়ায় পাড়ায় লাড্ডু বিতরণও হয়েছে গেরুয়া শিবিরের তরফে। শুধু বিজেপিই নয়, অযোধ্যায় এমন ঐতিহাসিক মুহূর্তকে উদযাপন করতে পুজোর আয়োজন করেন বিশ্ব হিন্দু পরিষদ, হিন্দু জাগরণ মঞ্চের সদস্য়রাও।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.