দিব্যেন্দু মজুমদার, হুগলি: আরামবাগে এক গৃহবধূকে ধর্ষণের অভিযোগে শুক্রবার রাতে তাঁরই দেওরকে গ্রেপ্তার করল আরামবাগ থানার পুলিশ৷ ধর্ষণে ইন্ধন জোগানোর অভিযোগে গৃহবধূর স্বামীকেও গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ৷ চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে পশ্চিম মেদিনীপুরের চন্দ্রকোনা থানার পিয়ারাডাঙা গ্রামে৷
গৃহবধূর বাপের বাড়ি হুগলির গোঘাটের বেলডিহা গ্রামে৷ পাঁচ বছর আগে ওই গৃহবধূর সঙ্গে পিয়ারাডাঙার টোটন পানের বিয়ে হয়৷ বিয়ের সাত মাসের মাথায় তাঁর দেওর অরবিন্দ পান বাড়িতে একা পেয়ে ধর্ষণ করে৷ এই ঘটনার কথা গৃহবধূ তাঁর স্বামীকে জানান৷ উলটে স্বামী তাঁকে হুমকি দেয় বলে অভিযোগ৷ বিষয়টি বাইরের কাউকে বললে তাঁকে প্রাণে মেরে ফেলা হবে বলেও হুমকি দেয় স্বামী৷ অভিযোগ, এরপর থেকেই তার স্বামী, দেওর, শ্বশুর, শাশুড়ি-সহ শ্বশুরবাড়ির অন্যান্যরা তাঁর উপর মানসিক ও শারীরিক নির্যাতন শুরু করে।
[নাবালিকাকে কাজের টোপ দিয়ে গণধর্ষণ, পুলিশের জালে তিন অভিযুক্ত]
শ্বশুরবাড়ির লোকজন মাস চারেক আগে ওই গৃহবধূকে মারধর করে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেয়৷ এরপর সে গোঘাটে বাপের বাড়িতে চলে যান৷ বৃহস্পতিবার রাতে গৃহবধূ আরামবাগ মহিলা থানায় তাঁর দেওরের বিরুদ্ধে ধর্ষণ ও স্বামীর বিরুদ্ধে ধর্ষণে মদত দেওয়া এবং শ্বশুর-শাশুড়ির বিরুদ্ধে বধূ নির্যাতনের অভিযোগ দায়ের করেন৷ অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে শনিবার রাতে পশ্চিম মেদিনীপুরের পিয়ারাডাঙা গ্রামে শ্বশুরবাড়িতে হানা দেয় পুলিশ৷ গৃহবধূর স্বামী ও দেওরকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ৷ পরে ধৃতদের আজ আদালতে পেশ করে পুলিশ৷ ধৃতদের জেরা করে গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ৷ ইতিমধ্যেই নির্যাতিতা ওই গৃহবধূকে মেডিক্যাল টেস্টেরও ব্যবস্থা করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে৷ গৃহবধূকে ধর্ষণের মতো গুরুতর অভিযোগ পেয়েও কেন চুপ ছিলেন স্বামী? কেনই বা ওই বধূকে নির্যাতন চালাতেন শ্বশুরবাড়ির পরিবারের সদস্যরা? তা খতিয়ে দেখার কাজ শুরু করেছে পুলিশ৷
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.