দেবব্রত মণ্ডল: গৃহবধূকে খুন করার অভিযোগ উঠল স্বামী-সহ শ্বশুরবাড়ির লোকজনের বিরুদ্ধে। অভিযোগ, পণের জন্য ওই গৃহবধূর উপর অত্যাচার চালাত শ্বশুরবাড়ির লোকেরা। সেই কারণেই তাঁকে খুন করা হয়েছে। বুধবার ঘটনাটি ঘটেছে বারুইপুরের ১৬ নং ওয়ার্ডের বিশালাক্ষীতলায়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বিশালাক্ষীতলার বাসিন্দা পলাশ দে’র সঙ্গে গড়িয়ার লস্করপুরের কালীতলার অপর্ণার বিয়ে হয় ২০ বছর আগে। তাঁদের একটি ১৫ বছরের ছেলেও আছে। অভিযোগ, বিয়ের পর থেকেই পণ চেয়ে অপর্ণার উপর চলত অত্যাচার। মাঝেমাঝেই তাঁকে বাড়ি থেকে টাকা আনার জন্য চাপ দেওয়া হত বলে অভিযোগ। তাঁর ভাই বিশ্বজিৎ কলির অভিযোগ, পলাশ আগে একটি জেনারেটর চালানোর কাজ করত। কিন্তু মদ খাওয়ার জন্য সেই কাজ থেকে তাকে ছাড়িয়ে দেয় কর্তৃপক্ষ। বিয়ের সময় অপর্ণাকে তাঁর বাপের বাড়ি থেকে ২৫ হাজার টাকা নগদ ও ২০ ভরি সোনার গয়না দেওয়া হয়েছিল। তারপরেও তাঁকে টাকা আনার জন্য চাপ দেওয়া হত। মদ খাওয়ার জন্য টাকার দরকার হত অপর্ণার স্বামী পলাশের। সেই কারণেই টাকা লাগত তার। সে প্রায়ই টাকার জন্য তার স্ত্রীকে মারধর করত।
[ মহম্মদবাজারে তৃণমূল কর্মীর রহস্যমৃত্যু, উদ্ধার বস্তাবন্দি দেহ ]
অভিযোগ, পলাশ তার স্ত্রী অপর্ণাকে গতকাল শ্বাসরোধ করে মেরে ফেলে। এরপর সে অপর্ণা বাপের বাড়ির লোকজনকে খবর দেয়। জানায়, সে ঘুমের বড়ি খেয়ে মারা গিয়েছে। অপর্ণাকে বারুইপুর হাসপাতালে ভরতি করা হয়েছে। খবর পাওয়া মাত্রই অপর্ণার বাপের বাড়ির লোকেরা হাসপাতালে গিয়ে দেখে অপর্ণার গলায় কালসিটে দাগ রয়েছে। গৃহবধূর ভাইয়ের অভিযোগ, অপর্ণার স্বামী তাঁকে শ্বাসরোধ করে খুন করেছ। তাকে সাহায্য করেছে বাড়ির লোকজন।
ঘটনার পর থেকে অপর্ণার স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকেরা পলাতক। অপর্ণার স্বামী-সহ শ্বশুর বাড়ির লোকেদের ফাঁসির সাজা চেয়েছেন ভাই বিশ্বজিৎ কলি।
[ যানজট ছাড়াতে গিয়ে প্রহৃত হোমগার্ড, রামপুরহাটে উত্তেজনা ]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.