রাজকুমার, আলিপুরদুয়ার: ১৪ বছরের মেয়ে। ১২ বছরের ছেলে। সংসারে অভাব বলতে কিছু নেই। এরপরও পরিচয় গোপন করে দিব্যি নাবালকের প্রেমপর্ব চালাচ্ছিলেন গৃহবধূ। শুধু তাই নয় তার সঙ্গেই বিয়ে করে নতুন সংসার শুরু করেছিলেন। ঘটনায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে আলিপুরদুয়ার ও কোচবিহার জেলায়। ধন্দে পুলিশও।
[শ্যালিকা খুনে পাকড়াও জামাইবাবু, তদন্তে চাঞ্চল্যকর মোড়]
মিসড কল থেকে যাবতীয় ঘটনার সূত্রপাত। সেখান থেকে বধূর সঙ্গে শুরু নাবালকের কথোপকথন। কোচবিহার ব্লক ২-এর আমবাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের দক্ষিণ আমবাড়ির বাসিন্দা ওই কিশোর মধ্যপ্রদেশে শ্রমিকের কাজ করে। গৃহবধূর শ্বশুরবাড়ি আলিপুরদুয়ার শহর লাগোয়া মাঝের ডাবরি গ্রামে। ফোনেই প্রেম জমে ওঠে। কিন্তু ৩৪ বছরের গৃহবধূ নিজের কিশোর প্রেমিককে জানতেই দেননি স্বামী-সন্তানদের নিয়ে ভরা সংসার রয়েছে তাঁর। এর মধ্যেই রবিবার নিখোঁজ হয়ে যান বধূ। পরিবার-পড়শিরা ভাবেন অপহরণ করা হয়েছে তাঁকে। ২ দিন ধরে লাগাতার খোঁজ করার পর যখন কোচবিহারের দক্ষিণ আমবাড়িতে তাঁরা পৌঁছান। চোখ কপালে ওঠার মতো অবস্থা। নাবালক প্রেমিককে বিয়ে করে দিব্যি দ্বিতীয়পক্ষের সংসার সাজিয়ে ফেলেছেন ৩৪ বছরের মহিলা। ডাবরি গ্রামের শিবু রায় বলেন, ‘আমরা প্রথমে ভয় পেয়েছিলাম কেউ এই গৃহবধূকে অপহরণ করেছে বলে। কিন্তু এখন দেখছি তিনি নিজের ইচ্ছায় অন্যের সাথে চলে গিয়েছেন। মোবাইল, ফেসবুক আর হোয়াটসঅ্যাপ-এর কারণে এই সব হচ্ছে। এসব থেকে আমাদের সমাজকে সতর্ক থাকতে হবে।’
[সম্পত্তির লোভে মাকে মারধর গুণধর ছেলের, পুলিশের দ্বারস্থ বৃদ্ধা]
দক্ষিণ আমবাড়ির প্রাক্তন প্রধান বীরেন্দ্রনাথ বর্মন বলেন, ‘ মিসড কলে পরিচয় হয়ে দু’জনের ভালবাসার সম্পর্ক গড়ে ওঠে। বধূটির দুই সন্তান রয়েছে। কিন্তু সবকিছু গোপন করে এই প্রেম ও বিয়ে করেছে। ছেলেটির এখনও ১৮ পূর্ণ হয়নি। বাইরে কাজ করে। ছুটিতে বাড়িতে এসে বিয়ে করেছে। এখন কী করি আমরা গ্রামের মানুষেরা ভেবে পাচ্ছি না। দেখি প্রশাসন কি সিদ্ধান্ত নেয়।’
শেষে নাবালক ‘স্বামী’ ও গৃহবধূকে বাণেশ্বর পুলিশ ফাঁড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে লিখিত বয়ান জমা দিয়ে বধূকে পুরনো শ্বশুরবাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়। নাবালকেও তার বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়। সব জানার পরও নাকি নাবালক ‘স্বামী’ স্ত্রী-কে ছাড়তে নারাজ। দু’জনকেই বোঝানোর চেষ্টা করছেন আত্মীয়-পরিজনরা।
[‘বিতাড়িত হিন্দুদের জন্যই পশ্চিমবঙ্গ’ নাগরিকত্ব বিল নিয়ে মন্তব্য রূপার]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.