স্টাফ রিপোর্টার: এক বিবাহিত মহিলা ও তার আরও দুই প্রেমিক; অর্থাৎ স্বামী, স্ত্রী এবং দুই প্রেমিক নিয়ে সম্পর্কের চতুষ্কোণ। সম্পর্কের অধিকার নিয়েই গণ্ডগোল। দীর্ঘদিনের বচসা ওই মহিলার দুই প্রেমিকের মধ্যে। তা মেটাতেই ষড়যন্ত্র করে এক প্রেমিককে খুন করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠল মহিলা ও তার অন্য প্রেমিকের বিরুদ্ধে।
ঘটনা উত্তর ২৪ পরগনার অশোকনগর থানা এলাকার। দু’দিন নিখোঁজ থাকার পর শুক্রবার সকালে অজয় কর নামে মৃত ওই যুবকের দেহ উদ্ধার হয়। ঘটনার পর থেকেই তা নিয়ে তীব্র উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়। ঘটনার রেশ এত দূর ছড়ায় যে, অভিযুক্ত ওই মহিলা ও তার আরেক প্রেমিককে গ্রেপ্তারের দাবিতে থানার সামনে দেহ রেখে টানা বিক্ষোভ দেখান স্থানীয়রা। যার জেরে দুই অভিযুক্তকে আটক করতে বাধ্য হয় পুলিশ। পরে দোষ স্বীকার করলে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। ধৃত মহিলার নাম সখী চৌধুরি বিশ্বাস। তার প্রেমিক ওই যুবকের নাম বিশ্বজিৎ ভট্টাচার্য।
[ ঘূর্ণাবর্তের জেরে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা দক্ষিণবঙ্গে, কমতে পারে তাপমাত্রা ]
শুক্রবার সকালে নিহত যুবক অজয়ের ক্ষতবিক্ষত দেহের হদিশ পান পরিবারের লোকেরা। তাঁর পরিবারের অভিযোগ, বুধবার রাতে স্থানীয় দুই যুবক তাঁকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যায়। তাদের মধ্যে একজন ছিল অভিযুক্ত বিশ্বজিৎ নিজেই। এর পর থেকেই আর অজয়ের কোনও খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। খেলোয়াড় হিসাবে বেশ নাম করেছিলেন অজয়। সেলাইয়ের কাজও নিপুণ হাতে করতেন। বৃহস্পতিবার সকালেও বাড়ি না ফেরায় তাঁর পরিবারের লোকেরা অশোকনগর থানার নিখোঁজ ডায়েরি করতে যান। কিন্তু পুলিশ সে সময় কোনও অভিযোগ দায়ের করতে রাজি হয়নি বলে তাঁদের দাবি। পরে স্থানীয়দের চাপে ডায়েরি নেয় পুলিশ। শেষে শুক্রবার সকালে হাবড়া থানার পুলিশ রেললাইনের ধার থেকে অজয়ের দেহ উদ্ধার করে। এর পরই ক্ষোভে ফেটে পড়েন স্থানীয়রা।
[ ঘূর্ণাবর্তের জেরে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা দক্ষিণবঙ্গে, কমতে পারে তাপমাত্রা ]
সখীর সঙ্গে সম্পর্কের কথা স্বীকার করে নিয়ে মৃতের পরিবার জানিয়েছে, সখীর স্বামী কর্মসূত্রে ভিন রাজ্যে থাকেন। সন্তানকে নিয়ে বাপের বাড়িতে থাকত সখী। সেখান থেকেই অজয়-সহ এলাকার আরও একজনের সঙ্গে সম্পর্ক তৈরি হয়। তা নিয়েই দীর্ঘদিন ধরে টানাপোড়েন চলছিল অজয়ের সঙ্গে। পরিবারের অভিযোগ, সেই কারণেই তাঁকে খুন হতে হল। একইসঙ্গে জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার অজয়ের খোঁজ করতে প্রথমে সখীর বাড়িতে গিয়েছিলেন তাঁরা। সে সময়েই সখী ও তার পরিবারের লোকের কথা শুনে সন্দেহ হয়েছিল। এলাকার কাউন্সিলর মিলি চক্রবর্তী জানিয়েছেন, এই ঘটনায় এলাকার মানুষ ক্ষুব্ধ হয়ে থানা ঘেরাও করেছিলেন। পুলিশ সঠিক তদন্তের আশ্বাস দিলে পরিস্থিতি আয়ত্তে আসে। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত অপহরণ-সহ একাধিক ধারায় মামলা রুজু করেছে পুলিশ। ঘটনার তদন্ত চলছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.