Advertisement
Advertisement

Breaking News

ঘর থেকে উদ্ধার গৃহবধূর ঝুলন্ত দেহ, শ্বশুরবাড়ির বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ দায়ের

ঘটনার পর থেকেই পলাতক অভিযুক্ত স্বামী।

Housewife found hanging in Sonarpur house

প্রতীকী ছবি।

Published by: Shammi Ara Huda
  • Posted:August 20, 2018 3:22 pm
  • Updated:August 20, 2018 3:23 pm  

দেবব্রত মণ্ডল, দক্ষিণ ২৪ পরগনা:  শ্বশুরবাড়িতে গৃহবধূর অস্বাভাবিক মৃত্যু। খুনের পর গলায় ফাঁস লাগিয়ে ঝুলিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠল শ্বশুরবাড়ির বিরুদ্ধে। মৃত গৃহবধূর নাম কৃষ্ণা হালদার (২৫)। ঘটনার পর থেকেই পলাতক মৃতের স্বামী সুজয় কর্মকার-সহ শ্বশুরবাড়ির অন্যরা। গৃহবধূর বাপের বাড়ির লোকজন সোনারপুর থানায় খুনের অভিযোগ দায়ের করেছেন। মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার সোনারপুরের রাধানগরে।

[উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপ, আগামী ২ দিন রাজ্যে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা]

জানা গিয়েছে, বছর ছয়েক আগে ফুলেরহাটের কৃষ্ণা হালদারের বিয়ে হয়েছিল রাধানগরের সুজয় কর্মকারের সঙ্গে। অভিযোগ, বিয়ের কিছুদিন পর থেকেই শুরু হয়ে যায় অশান্তি। প্রতিবেশীদের অভিযোগ, নানা কারণে প্রায়ই কৃষ্ণাদেবীকে মারধর করত শ্বশুর বাড়ির লোকজন। সেই সঙ্গে ছিল নিত্য গঞ্জনা। কয়েকদিন আগে অশান্তি চরমে ওঠায় বাপের বাড়িতে গিয়েছিলেন ওই গৃহবধূ। দিন দুয়েক আগে ফিরে আসেন। এরপরে রবিবার সকালে কৃষ্ণাদেবীর ভাই তোতনকে ডেকে পাঠায় সুজয় কর্মকার। ফের অশান্তির আশঙ্কায় তড়িঘড়ি দিদির শ্বশুরবাড়িতে আসেন তোতনবাবু। তবে বাড়ির বাইরে কাউকেই দেখতে পাননি। সদর দরজা ভিতর থেকে বন্ধ থাকায় বেশ কয়েকবার ফোনও করেন। কোনও সাড়াশব্দ না পেয়ে শেষ প্রতিবেশীদের দ্বারস্থ হন। এরপর প্রতিবেশীরা দরজা ভেঙে দেখেন ঘরের মধ্যে গলায় ফাঁস লাগিয়ে ঝুলছেন ওই গৃহবধূ। বাড়িতে আর কেউ নেই। সঙ্গেসঙ্গেই সোনারপুর থানায় খবর যায়। পুলিশ এসে দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে। মেয়েকে খুনের অভিযোগ দায়ের করেছেন কৃষ্ণাদেবীর অভিভাবকরা। সুজয় কর্মকার ও অন্যান্যদের খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ।

Advertisement

অন্যদিকে অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনায় ময়নাতদন্ত ছাড়াই অন্ত্যেষ্টির তোড়জোড়ের অভিযোগ উঠল। চুল্লির সামনেই দেহ আটকে দিল পুলিশ। ঘটনাটি বারুইপুরের। বছর সাতচল্লিশের এক ব্যক্তির অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে রবিবার দুপুরে। মৃতের নাম স্বপন সর্দার। বাড়ি বারুইপুর থানার রামগোপলপুরে। এদিন মদ্যপানের পর পুকুরে নেমেছিলেন পেশায় বারুইপুর আদালতের মুহুরী স্বপনবাবু। পরিবারের দাবি, জলে নামার পর আর ওঠেননি তিনি। দীর্ঘক্ষণ কোনও সাড়াশব্দ না পেয়ে বাড়ির লোকরা পুকুরের ঘাটে যান। সেখানেই মুখ থুবরে পড়েছিলেন স্বপন সর্দার। স্থানীয় হাতুড়ে ডাক্তারকে খবর দেওয়া হলে তিনি স্বপনবাবুকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। জানান, জলে নামার পর হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার কারণেই তাঁর মৃত্যু হয়েছে। রাতেই অন্ত্যেষ্টির জন্য শ্মশানে নিয়ে যাওয়া হয় দেহ। তবে বৈদ্যুতিন চুল্লিতে দেহ ঢোকানোর আগেই ঘটনাস্থলে পৌঁছায় বারুইপুর থানার পুলিশ। দেহটি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।

[বাসন্তী হাইওয়েতে লরি-পিকআপ ভ্যানের মুখোমুখি সংঘর্ষে মৃত ১]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement