সুরজিৎ দেব, ডায়মন্ড হারবার: গৃহবধূকে হত্যার অভিযোগ উঠল দক্ষিণ ২৪ পরগনার নামখানায়। অভিযোগ, প্রথমে ওই গৃহবধূকে গায়ে কেরোসিন ঢেলে পুড়িয়ে মারার চেষ্টা করে তাঁর শ্বশুরবাড়ির সদস্যরা। কিন্তু তাতে সফল না হওয়ায় পরে বধূকে খুন করে তাঁর মৃতদেহ ঝুলিয়ে দেওয়া হয়। অভিযোগের ভিত্তিতে মৃতার স্বামী, শ্বশুর ও শাশুড়িকে গ্রেপ্তার করে মামলার কিনারা করতে নেমেছে নামখানা থানার পুলিশ।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, নামখানা থানার শিবরামপুরের বাসিন্দা সুমন জানার সঙ্গে রাজনগর গ্রামের ২১ বছরের তরুণী মৌমিতার বিয়ে হয় আড়াই মাস আগে। মৌমিতার বাপের বাড়ির আত্মীয়দের অভিযোগ, বিয়ের পর থেকেই তাঁদের মেয়ের ওপর অত্যাচার চালাত স্বামী সুমন, শ্বশুর ও শাশুড়ি। পণ আদায়ের জন্য অধিকাংশ সময়ে মৌমিতাকে চাপ দেওয়া হত বলে অভিযোগ। মৌমিতার বাপের বাড়ির সদস্যরা অভিযোগে আরও জানিয়েছেন, শুক্রবার রাতেও মৌমিতাকে মারধর করে তার স্বামী ও শ্বশুর-শাশুড়ি। আহত অবস্থায় মৌমিতার গায়ে কেরোসিন তেল ঢেলে আগুন লাগিয়ে দেওয়ারও চেষ্টা করা হয়। কিন্তু কোনওভাবে তাদের পরিকল্পনা সফল হয়নি। এরপর অন্য উপায় খুঁজে বের করেন অভিযুক্তরা। মৌমিতাকে শ্বাসরোধ করে খুনের পর ঝুলিয়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ।
লজ্জার শিরোপা, নাবালিকা বিবাহে দেশের মধ্যে শীর্ষে বাংলা
শনিবার সকালে মৌমিতার শ্বশুরবাড়ি থেকে চিৎকার-চেঁচামেচি শুনে ছুটে যান স্থানীয় বাসিন্দারা। তাঁদের জানানো হয়, মৌমিতা গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। এরপর প্রতিবেশীরাই নামখানা থানায় খবর দেন। পুলিশ শিবরামপুরে সুমন জানার বাড়িতে পৌঁছায়। ঘরের ভেতর থেকে মৌমিতার ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়। মৃতার বাপের বাড়ির সদস্যদের অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ খুনের মামলা রুজু করেছে। গ্রেপ্তার করা হয়েছে মৃতার স্বামী সুমন জানা, শ্বশুর অনিল জানা ও শাশুড়ি সবিতা জানাকে। তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করে প্রকৃত সত্য জানার চেষ্টা করছেন তদন্তকারীরা। মাত্র আড়াই মাসে নবপরিণীতা বধূর এমন পরিণতিতে প্রতিবেশীদের সন্দেহের তিরেও শ্বশুরবাড়ির সদস্যরা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.