ছবি: প্রতীকী
আকাশনীল ভট্টাচার্য, বারাকপুর: খড়দহে গণধর্ষণ। রাতে ছেলেকে টিউটোরিয়াল হোমে পৌঁছে দিয়ে বাড়ি ফেরার পথে আক্রান্ত এক গৃহবধূ। পানিহাটি স্টেট জেনারেল হাসপাতালে ভরতি তিনি। চারজনের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন নির্যাতিতার স্বামী। অভিযুক্তরা এখনও অধরা।
উত্তর ২৪ পরগনার খড়দহের পাতুলিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের শিবমন্দির এলাকায় থাকেন বছর চল্লিশের ওই গৃহবধূ। তাঁর স্বামীর আবার একটি রাজনৈতিক দলের কর্মী বলে জানা গিয়েছে। বুধবার সন্ধে আটটা নাগাদ ছেলেকে টিউটোরিয়াল হোমে পৌঁছে দিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন ওই গৃহবধূ। তাঁর অভিযোগ, শিবমন্দিরের কাছে পথ আটকায় দুই যুবক। তাদের মুখ কালো কাপড় দিয়ে ঢাকা ছিল। এরপরই জোর করে রাস্তার পাশে একটি নির্মীয়মাণ বহুতলে নিয়ে গিয়ে চলে অত্যাচার। ওই মহিলাকে গণধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ। ঘটনার পর জ্ঞান হারান তিনি। জ্ঞান ফেরার পর যখন স্থানীয় বাসিন্দাদের ঘটনার কথা জানান, তখন তাঁরা ওই মহিলার স্বামীকে খবর পাঠান। নির্যাতিতাকে নিয়ে যাওয়া হয় পানিহাটি স্টেট জেনারেল হাসপাতালে। চিকিৎসক জানিয়েছেন, ওই মহিলার শরীরের একাধিক জায়গায় আঘাত লেগেছে। শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল, তবে ট্রমায় রয়েছেন তিনি। এদিকে এই ঘটনায় খড়দহ থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন নির্যাতিতার স্বামী। অভিযুক্তরা পলাতক।
[ চতুর্থবার বিয়ে করতে গিয়ে বিপত্তি, ‘গুণধর’কে গণপ্রহার]
কিন্তু, ভরসন্ধেয় কেন এভাবে গণধর্ষণের শিকার হতে হল ওই গৃহবধূ? কারণ স্পষ্ট নয়। মহিলার স্বামীর দাবি, তিনি একটি রাজনৈতিক দলের কর্মী। সেই আক্রোশেই স্ত্রীর উপর এমন পাশবিক অত্যাচার করা হল। তবে কোন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে তিনি যুক্ত, তা অবশ্য খোলসা করতে চাননি নির্যাতিতার স্বামী।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.